শুক্রবার ● ২৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » উপকূল » শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা ও পূণ্যস্নানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা ও পূণ্যস্নানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সুন্দরবনের দুবলার চরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব বা মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মেলার পরিবর্তে শুধুমাত্র সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমার পূজা ও পূণ্যস্নানে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে রাস পূজা ও পূণ্যস্নানে অংশ নেয়ার জন্য মোংলাসহ সুন্দরবন অঞ্চলের সনাতন ধর্মালম্বী লোকজন বন বিভাগের দেয়া সকল শর্তবিধি মেনে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। অপরদিকে পরিবেশবাদীরা এবার সীমিত আকারে রাস পূজার অনুমতি দেয়ায় বন বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে এক আকর্ষণীয় উৎসবের নাম সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোর কোলের রাস মেলা বা উৎসব। সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের পূজা অর্চনা ঘিরে এই রাস মেলা অনুষ্ঠিত হলেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতসহ বিদেশ থেকেও অনেক ভক্ত ও দর্শনার্থীরা আসেন এই মেলায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা ও পূণ্যস্নানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরবনের দূবলার চরে রাস পূজা ও ৩০ নভেম্বর সকালে দূবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে রাস পূজা শেষ হবে। ২৮ নভেম্বর ভোর থেকে পূজারীরা সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোর কোলের উদ্দেশ্যে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে রওনা দিবেন। এর আগে ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে কারণে রাস পূজা ও পূণ্যস্নান উপলক্ষে কোনো মেলা বা উৎসব হয়নি।
প্রতিবছর রাস উৎসব বা মেলায় অংশ নেবার নামে এক শ্রেণির অসাধু লোক সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হরিণ ও নানা বন্যপ্রাণী শিকারসহ জীব বৈচিত্রের নানা ধরনের ক্ষতি সাধন করে আসছিল। এবার সীমিত আকারে রাস পূজার অনুমোদন দেওয়ায় বন্যপ্রাণী নিধন ও পরিবেশের ক্ষতি অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদিরা।