শুক্রবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন
বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন
বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি শুক্রবার উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বেতার ভবনে আয়োজিত সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে জুম অ্যাপে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐহিত্যকে ধরে রেখেই বেতারের অনুষ্ঠানমালা তৈরি করতে হবে। দেশপ্রেম নিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্ম যাতে গড়ে ওঠতে সে ব্যাপারেও বেতারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আকাশ সংস্কৃতি, ধর্মীও অপব্যাখা, ইন্টারনেটে নানা ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য একটি সুন্দর সমাজ গঠনের অন্তরায়। তাই এসব গুজব, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন করতে অন্যান্য গণমাধ্যমের সাথে তিনি বেতারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
খুলনা বেতার প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। ঢাকা প্রান্ত থেকে জুমে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। জুম অ্যাপে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা বেতার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সংবাদ, শিক্ষা ও বিনোদনের প্রথম মাধ্যম। তিনি বলেন, খুলনা বেতার বিনোদনসহ নানা ধরণের কার্যক্রমের সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তৃণমূলের মানুষকে আগাম সর্তকবার্তা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে।
তথ্য সচিব খাজা মিয়া তাঁর আলোচনায় ছাত্র জীবনের স্মৃতি উল্লেখ করেন বলেন, তিনি খুলনা বিএল কলেজে লেখাপড়ার সময় খুলনা বেতারের অনুষ্ঠান শুনতেন। তিনি খুলনা বেতার থেকে প্রচারিত কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত শুনতেন এবং গ্রামের কৃষকদের এ অনুষ্ঠান শোনার পরামর্শ দিতেন।
সূবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ঢাকা ও খুলনা প্রান্তে বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিল্পী, কলা-কৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার খুলনা, মহানগরীর উপকন্ঠে গল্লামারীতে বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ১০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটার দিয়ে যাত্রা শুরু করে খুলনা বেতার দ্রুত এ অঞ্চলের মানুষের মন জয় করে নেয়।
১৯৮১ সালে ২৮শে এপ্রিল ১০০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার সংযোজনের মাধ্যমে এ কেন্দ্রটি বাংলাদেশসহ ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করা অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা করোনা মহামারীর কারণে সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত স্টুডিওভিত্তিক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।