শুক্রবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননা
পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননা
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছার ৭নং গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে বার বার জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ই ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার পরও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গদাইপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আক্তারুল গাজী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয় পতাকা না নামানোর ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। এ পর্যন্ত তার কোন প্রতিকার হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ শেখ জাকির হোসেন লিটন বলেন, এটাই প্রথম না, ইতি পূর্বে ৪ বার জাতীয় পতাকা সময়মত না নামানোর ঘটনা ঘটেছে। আমরা দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে শোকজ ও রেজুলেশন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে গদাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী জানান, জাতীয় পতাকার প্রতি আন্তরিকতার অভাব। জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার প্রতীক। জাতীয় পতাকার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এমনটা ঘটে থাকে। এ বিষয়ে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান বলেন, আমি গত বৃহষ্পতিবার খুলনায় মিটিং এ ছিলাম। জাতীয় পতাকা নামানোর দায়িত্ব ছিল গ্রাম পুলিশ আব্দুল মালেক এর উপর। জাতীয় পতাকা সময়মত না নামানোর অপরাধে তাকে শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হবে। এ বিষয়ে আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। ইতি পূর্বে জাতীয় পতাকা না নামানোর ঘটনায় গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাতীয় পতাকা সময়মত না নামানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত গ্রাম পুলিশকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকার বিশিষ্টজনেরা অভিমত ব্যক্ত করেন, জাতীয় পতাকা দেশের সম্মানের প্রতীক। সবাইকে জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষা করার জন্য কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি যেন আর পুনরায় না ঘটে সে জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দের আরও সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন।