মঙ্গলবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা ঃ
সরিষার মৌসুম চলছে। সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত হলুদের সমারহ। সরিষার ফুলে ভোমরের গুঞ্জনে কৃষকের মন আলোড়িত হচ্ছে। মধু আহরনে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই দুইমাস সরিষার ফুল থেকে মধুু সংগ্রহ করা যায়। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মৌচাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমারহ। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়ে যায়।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় ২০ হেক্টর ও উফশী ৬৫ হেক্টর। সময়মত মাটিতে জো না আসায় সরিষার আবাদ কম হয়েছে। উপকুলের লবনাক্ত এলাকা চাষাবাদ অনেকটা প্রকৃতি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। অন্য এলাকায় আগাম মাটিতে জো আসলেও উপকুল এলাকার নিঁচু মাটিতে জো আসতে দেরি হয়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ হয়েছে, গদাইপুর স্থানীয় ২- উফশী ১০, কপিলমুনি স্থানীয় ৫- উফশী ১৫, হরিঢালী স্থানীয় ৪- উফশী ২০, রাড়–লী স্থানীয় ২- উফশী ৮, চাঁদখালী স্থানীয় ২- উফশী ৪.৫, গড়ইখালী স্থানীয় ৩- উফশী ৫, লতা স্থানীয় ১- উফশী ১, দেলুটী স্থানীয় ১- উফশী ১.৫, একর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা সোনালী সরিষা এসএম ৭৫, বারি সরিষা ১৫, টরি ৭, রাই ৫ জাতের সরিষা আবাদ করেছে। আবাদকৃত সরিষার ক্ষেতগুলি ফুলে ভরে গেছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামে সরিষা চাষী সবুর হোসেন, শফিকুল ও আব্দুর রহিম জানায় তাদের ক্ষেতের আবাদকৃত সরিষা ভালো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধান কাটতে দেরি হওয়ায় সরিষা আবাদ কিছুটা কম হয়েছে। কৃষকরা যদি বোরো আগাম জাতের ধান চাষ করে তাহলে সময়মত ধান কাঁটার পর সরিষা চাষে উপযুক্ত সময় পাবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষে উদ্বুধ করা হচ্ছে। তাছাড়া উপকূল এলাকার নিচু জমিতে জো আসে দেরিতে সে জন্য ফসল লাগাতেও দেরি হয়। এবছর উপজেলায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয়ের সৃষ্টি না হলে সরিষার আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।