রবিবার ● ১৪ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছা পৌরসভা সড়কের নির্মান কাজে এক বছর ফেলে রাখায় ধুলোবালিতে চরম দুর্ভোগ
পাইকগাছা পৌরসভা সড়কের নির্মান কাজে এক বছর ফেলে রাখায় ধুলোবালিতে চরম দুর্ভোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছা পৌরসভার প্রধান সড়কের নির্মান কাজ অর্ধেক করে ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী। এক বছরের বেশি সময় ধরে ফেলে রাখায় রাস্তার ধুেলাবালি ও রাস্তার খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে জনসাধারণের। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। ধুলোই হাটা যায় না রাস্তায়। ধুলোর স্থর জমে শরীরে। ধুলোর দূষণে বাড়ছে বায়ু দূষণ। আর এই দূষিত বায়ু স্বাস্থ্যের উপর নানান প্রভাব ফেরছে। ফুসফুসের নানা রোগ এজমা, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিলতায় পড়েছে পৌরবাসী। রাস্তার ধুলোবালি থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা রাস্তায় পানি ছিটিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। কাজ শেষ না হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার একে অপারকে দোষারোপ করছে।
পাইকগাছা পৌরসভা সূত্র জানা গেছে, ২০১৯ সালে “গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় পাইকগাছা পৌরসভার বাস্তবায়নাধীন প্যাকেজ ওটওউচ-২/চঅও/চ-৮ নাম্বারে” পাইকগাছা বাসস্টান্ড জিরো পয়েন্ট থেকে পৌর বাজার হয়ে শিববাটী ব্রিজ পর্যন্ত ৩টা প্যাকেজে ভাগ করে টেন্ডার আহবান করে। প্রথম অংশে (বাসস্ট্যান্ড জিরো পয়েন্ট থেকে পুরাতন পরিবহণ স্টান্ড পর্যন্ত) কাজ পান পারভেজ এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটার বেনজির আহম্মেদ লাল। তিনি ওয়ার্ক ওয়ার্ডার পাওয়ার পরপরই কাজে হাত দেন এবং কিছু দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে পৌরসভাকে বুঝিয়ে দেন। দ্বিতীয় অংশের কাজ পান মেসার্স জোহা এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার মালিক জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন। (পাইকগাছা পুরাতন পরিবহণ স্ট্যান্ড- পাইকগাছা থানা জামে মসজিদ মার্কেটের কাঁকড়া সমিতির অফিস পর্যন্ত) তিনি ওয়ার্ক ওয়ার্ডার পাওয়ার পরও কাজ করতে গড়িমসি করেন। পৌরসভার চাপে দেরিতে কাজ শুরু করলেও রাস্তার কাজ অর্ধেক করে ফেলে রাখে! রাস্তার কাজ না হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে বার বার কাজ শেষ করার চাপ দিলেও ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় ফেলে রাখায় রাস্তার খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও প্রচন্ড ধুলার কারণে যাত্রী সাধারণ ও দোকানদারদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। রাস্তার কাজে ধীরগতি ও ফেলে রাখার বিষয়ে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফান্ডে টাকা না থাকার কারণে রাস্তার কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। অতি দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করা হবে। তৃতীয় অংশের কাজ পান আরেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোশারফ আলম খান বাচ্চু। তিনি (শিববাটি ব্রিজ থেকে বাতিখালীর মনিন্দ্র রায়ের বাড়ি পর্যন্ত) কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর কাজ শুরু করলেও প্রায় দু’বছরেও কাজ শেষ করতে পারেননি। রাস্তার খোয়া উঠে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। প্রচন্ড ধুলা বালির কারণে রাস্তায় চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়ছে জন সাধারণ। রাস্তার কাজের ধীর গতির বিষয়ে ঠিকাদার মোশারফ আলম খান বাচ্চুর ব্যবহৃত মুঠো ফোনে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, জনভোগান্তি কমাতে রাস্তার কাজ শেষ করার জন্য বার বার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের চাপ দেয়া হচ্ছে এমনকি তাদেরকে চিঠি দিয়ে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শেষ করবেন বলে পৌরসভাকে জানিয়েছেন দু’ঠিকাদার।