মঙ্গলবার ● ৩০ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা
পাইকগাছায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা
এস ডব্লিউ নিউজ: পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। যার নং-৩১। ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা এসএম এনামুল হকসহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেছেন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর ভাই রবিউল ইসলাম রবি। সর্বশেষ সোলাদানা এলাকায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুলহক, যুবলীগ নেতা সালাহউদ্দীন সানা, মুছা মোড়লসহ অন্যান্যদের অবস্থা শংকামুক্ত বলে তাদের পারিবারিক স‚ত্র জানিয়েছে।সর্বশেষ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মান্নান গাজীর অভিযোগ, বিএনপি ইউপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিলেও সোলাদানায় নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলাটে করতে সৃষ্ট ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দলীয় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছেন।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ জানায়, শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে সোলাদানার বেতবুনিয়া মাদরাসা মোড়ে আ’লীগ প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর নির্বাচনী অফিস সংলগ্ন এলাকায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা এসএম এনামুল হকের কর্মীদের পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে দু’দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রার্থী এনামুল হক, কিশোর, শামীমসহ নেতা-কর্মীরা এবং যুবলীগ নেতা সালাহউদ্দীন, মুসা, ফিরোজ, নিছার ফকির, রবি গাজীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ঐ এলাকা রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।এক পর্যায়ে এনামুল ও তার লোকজন স্থানীয় লাভলু ও তার বোন মনিরার বাড়িতে আশ্রয় নিলে নৌকা প্রতীকের বিক্ষুব্ধ সমর্থরা সেখানে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ী ও একাধিক মটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় বলেও জানানো হয়। পরে এসিল্যান্ড মোঃ শাহরিয়ার হক, ডিবি ওসি আমিনুল ইসলাম, থানা ওসি এজাজ শফী ও সর্বশেষ ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ঐদিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে দাবি করা হয়, আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যেও গতিরোধ করা হয়। সংবাদ সংগ্রহে তথ্য নিতে হাসপাতালে অবস্থানরত স্থানীয় দু’সাংবাদিককেও লাঞ্ছিত করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনার পর থেকে সোলাদানায় পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।ঘটনার পর সেখান থেকে পুলিশ ভাংচুরকৃত মটরসাইকেল, লাঠিসোটা, দাসহ বিভিন্ন উপকরণ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর ভাই রবিউল গাজী বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হকসহ তার অর্ধশত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন, যার নং- ৩১। মামলায় বাদী সহিংসতার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলকে দায়ী করেছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এজাজ শফী সেখানে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের কথা বলে জানান, নির্বাচনী সংঘর্ষ, ভাংচুরের ঘটনায় রবিউল গাজী বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম এনামুল হকসহ তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন।