মঙ্গলবার ● ৩০ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার সোলাদানায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আ’লীগ প্রার্থী মান্নান গাজীর সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছার সোলাদানায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আ’লীগ প্রার্থী মান্নান গাজীর সংবাদ সম্মেলন
এস ডব্লিউ নিউজ: পাইকগাছার সোলাদানার বেতবুনিয়াতে আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম এনামুল হক সমর্থিত ও নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় পাইকগাছায় সংবাদ সম্মেলন করেন সোলাদানা ইউপি’র আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আঃ মান্নান গাজী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, জেলা জেলা আ’লীগ সদস্য শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস,ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার মহসীনুর রহমান,সম্পাদক নির্মল কান্তি ঢালী,আ’লীগ নেতা প্রভাষক ময়নুল ইসলাম,পঞ্চানন সানা,আয়ুব আলী, যুবলীগ নেতা এমএম আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মান্নান গাজী বলেন, ২৭ মার্চ সকালে বেতবুনিয়া মাদরাসা মোড়ে আমার নির্বাচনী অফিসের সামনে গন্ডগোল সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত সুকৌশলে এনামুল চেয়ারম্যানের কর্মী টিক্কা সহ অন্যরা আনারস প্রতিকের পোষ্টার লাগাচ্ছিল। এ সময় আমার কর্মীরা অফিস থেকে একটি দুরে পোষ্টার লাগানোর কথা বললে টিক্কা ও তার লোকজন বিতর্কে জড়িয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এ ঘটনা মোবাইলে জানাইলে এনামুল হক বহু মটরসাইকেল ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে করে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে আমার ও কর্মীদের উদেশ্যে গালিগালাজ শুরু করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে। মান্নান গাজী অভিযোগ করেন, এ সময় চেযারম্যান এনামুল উস্কানি মুলক বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। এ মুহুর্তে আমার ভাই রবিউল গাজী ও কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কাযেম করে। এ সময় নৌকার কর্মী সালাউদ্দীন সানা, মুছা, রবিউল সহ ২০/২৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়।
এ ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্দ মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে বহুলোক জখম সহ ঘরবাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ফাঁকা গুলিবর্ষন করে পরিস্থিতি নিযন্ত্রন করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রতিপক্ষের ১১ টি মটর সাইকেল ও বাঁশের লাঠি জব্দ করেছেন।
পুরো ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান এনামুল হককে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে নৌকার প্রার্থী মান্নান গাজী আরোও জানান, সে একজন গোয়েন্দা পুলিশের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত ও তার বাহিনীর নামে খুন,চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা আদালতে বিচরাধীন রয়েছে। এর পরেও ইউপি নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলেও পিছন থেকে এনামুলের পক্ষে জেলা বিএনপি’র সভাপতি-সম্পাদক বেতবুনিয়ার ঘটনায় মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেন।