মঙ্গলবার ● ৪ মে ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » যশোরের বিল খুকশিয়া ২৭টি বিল এখন সোনালী ফসলে ভরে উঠেছে
যশোরের বিল খুকশিয়া ২৭টি বিল এখন সোনালী ফসলে ভরে উঠেছে
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর থেকে :
যশোরের বিল খুকশিয়াসহ ২৭টি বিলে দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধ জমি এখন সোনালী ফসলে ভরে উঠেছে। এলাকাবাসির নিজস্ব অর্থায়নে পানি নিষ্কাশনের ফলে ঐ সকল বিলে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এই বাম্পার ফলনে বিল খুকশিয়া অববাহিকার প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষদের মুখে হাসি ফুটেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দীর্ঘ দিনেও এই এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান করতে পারিনি। ফলে পাউবো’র উপর আস্থা হারিয়ে বিল খুকশিয়াসহ ২৭ বিলে জলাবদ্ধতা নিরসন বাস্তাবায়ন কমিটির ব্যানারে ৬৯টি গ্রামের ভুক্তভোগী জনগণ চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে নিজস্ব অর্থায়নে ১২৯টি সেচ পা¤েপর মাধ্যমে এই সেচ কার্যক্রম শুরু করে। এবং তারা সফলও হয়। যার প্রেক্ষিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ প্রায় সাড়ে ২২ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের ডহুরী গ্রামের হরি নদীর পাশে পানিউন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের গা ঘেষে সারি বদ্ধভাবে ১২৯টি বিভিন্ন আকারের সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করে। জলাবদ্ধতা নিরসন বাস্তাবায়ন কমিটির নেতারা বলেছেন, বিল খুকশিয়া সহ ২৭ বিলের অবস্থান পাশবর্তী খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শেষ থেকে যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলায় হরি নদীর গা ঘেষে। কেশবপুরের পাজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন, মনিরামপুরের দুর্বা ডাঙ্গা ও মনোহরপুর ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ২৭টি বিলের অবস্থান। আর এই সকল এলাকার ৬৯টি গ্রামের মানুষ পাউবোর উদাশিনতায় দীর্ঘ দিন যাবত জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে।
এবিষয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন বাস্তাবায়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এ বছর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা শুরু করি। এবং আমরা ৯০ শতাংশ সফলও হয়েছি। যার ফলে ঐ সকল বিলে এবছর প্রায় সাড়ে ২২ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা সম্ভব হয়েছে। সাড়ে ৮ হাজার বিঘা জমি বোরো আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে এখনও সেচ কার্যক্র চলমান রয়েছে। কমিটির আহবায়ক ও কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন বলেন, এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে মানুষের দীর্ঘশ্বাস দেখে। আমরা মানুষের দুর্দশা লাঘবে সফল হয়েছি। এসব বিলে এখন ফসলে ভরে উঠেছে।