সোমবার ● ২৪ মে ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ১০৮টি আশ্রায়ন কেন্দ্র প্রস্তুুত
পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ১০৮টি আশ্রায়ন কেন্দ্র প্রস্তুুত
পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুুত ১০৮ টি আশ্রায়ন কেন্দ্র কাম সাইক্লোন শেল্টার। সে সঙ্গে প্রস্তুুত রয়েছে মেডকেল টিম। এছাড়াও রয়েছে শুকনা খাবার চাল, ডাল, গো-খাদ্য। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঘূর্ণঝড় ইয়াস মোকাবিলায় উপজেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) ইমরুল কায়েস জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১০৮টি আশ্রায় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে। এ বাদেও আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছি। এ সমস্ত সাইক্লোন শেল্টারের ধারন ক্ষমতা রয়েছে ৫৮ হাজার মানুষ। প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ২ হাজার ৫ শ। উপজেলার মধ্যে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ৪ টি ইউনিয়ন। যার মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ দেলুটি ইউনিয়ন। অপরদিকে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে উপকুল এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী ফরিদ হোসেন জানান, পাইকগাছায় ২২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। যার মধ্যে ঝুঁকিতে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার বাঁধ। লতা ইউনিয়নে ৬, দেলুটিতে ৭, সোলাদানা ৫, গড়ইখালী ৩, গদাইপুর ৫ ও লস্কর ইউনিয়নে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। অস্বাভাবিক পানি
বাড়লে প্রায় সব স্থান থেকে পানি ছাপিয়ে পোল্ডারের ভিতরে ঢুকে প্লাবিত হবে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারনা সহ আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। যদি অস্বাভাবিক কিছুু হয় সেটি মোকাবিলার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে।