শুক্রবার ● ২৮ মে ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছার বাইশারাবাদ আশ্রায়নের একই স্থানে দুই প্রকল্প, বাড়বে দুর্ভোগ
পাইকগাছার বাইশারাবাদ আশ্রায়নের একই স্থানে দুই প্রকল্প, বাড়বে দুর্ভোগ
এস ডব্লিউ নিউজ: পাইকগাছা উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়ানের বাইশারাবাদ বিলে একই জায়গায় ২টি প্রকল্প বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। ২০ বছর আগে নির্মাণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের সামনে সম্প্রতি নির্মাণ করা হচ্ছে হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২। বাসিন্দাদের অভিযোগ এভাবে একটি ঘরের সামনে আর একটি ঘর নির্মাণ করায় চলাচলসহ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এটি নিরশনে আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দারা পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন। সম্প্রতি সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা ঘুরে ও সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাইশারাবাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসকারীরা জানায়, ২০০০ সালে বাইশারাবাদ বিলে মধ্যে সরকারি ৯.১১ একর জমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারীত করা হয়। এরমধ্যে থেকে ১.৫০ একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা করে টিনের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে ২ সারিতে ৬০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য সারি দুইটির মধ্যে প্রায় ৬০ ফুট জায়গা রাখা হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গৃহহীন ৬০টি পরিবারের মধ্যে ঘরগুলো বরাদ্দা দেওয়া হয়। বিশ বছর আগের ঘর আজও সংস্কার করা হয়নি। ফলে ঘরগুলিতে বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সেই চলাচলের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ আওতায় নতুন করে ২৮টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের মুল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এভাবে নতুন করে ঘর করায় পুরাতন আর নতুন ঘরে মধে ৫-৬ ফুটের মত জায়গা থাকছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ২৮টি ঘর নির্মাণ করার সময় ঘোষণা দেওয়া হয় আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দাদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে। কারণ তাদের ঘরগুলো অনেকটা বসবাসের অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। সেই জন্য তারা ঘরের সামনে থাকা রান্নাঘর, গাছা-পালা কেটে জায়গা পরিস্কার করে দেয়। কিন্তু এখন তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের দেওয়া হচ্ছে।
বাইশারাবাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম সরদার ও মো. ইউসুফ মোড়ল বলেন, আমাদের ঘরগুলো সেই বিশ বছর আগের। আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়নি। টিনের চাল ও বেড়া নষ্ট হওয়ায় বিশটি পরিবার বাইরের বাস করছে। এখন এসে নতুন করে ঘর করা হচ্ছে। নতুন ঘরের সাথে আমাদের ঘরের চাল একে বারে মিশে যাচ্ছে। আমরা চলাচল করব কি করে। এভাবে ঘর করায় বসবাস করা যাবে না।
আশ্রায়ণ প্রকল্পের সভাপতি ওসমান মল্লিক বলেন, এখানে নতুন ঘর নির্মাণ করার সময় বলা হয়েছিল এসব ঘর আমাদের দেওয়া হবে। সেই জন্য আমাদের ঘরের চারি পাশে গাছপালা কেটে পরিস্কার করে দিলাম। ঘরের সামনে ফাঁকা জায়গায় রান্না করতাম, তাও ভেঙে দিলাম। পাশে টয়লেট করেছিলাম এখন তাও ভেঙে ফেলতে হলো। পাশে আরও জায়গা আছে। সেখানে করতে পারত।
গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান বলেন, নতুন করে ঘন নির্মাণ যেভাবে করা হচ্ছে তাতে পুরাতন ঘরে সামনে আটকে যাচ্ছে। চলাচলে ও বসবাসের খুব সমস্যা হবে। এখন আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে দেখি এর একটা সমাধানের চেষ্টা করব।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আশ্রায়নের বাসিন্দাদের যে জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে তার বাহিরের জমি তারা পাবে না। জমি মেপে ঘর তৈরী করা হচ্ছে। সেখানে বসবাসের কোন অসুবিধা হবে না। যারা ওই আশ্রয়ন এলাকায় বাস করছে তারা এই নতুন ঘর চেয়েছিল। কিন্তু তাদের দেওয়া হবে না শুনতে পেরে নানা রকম অভিযোগ করছে। দুই ঘরে মধ্যে যথেষ্ট জায়গা আছে। পুরাতন ঘরগুলো সংস্কার করা হবে।