শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ২ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ » উপকূলে পানি প্রতিবেশ সুরক্ষায় পাঁচদফা দাবিতে ১৫ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পানি সম্মেলন
প্রথম পাতা » পরিবেশ » উপকূলে পানি প্রতিবেশ সুরক্ষায় পাঁচদফা দাবিতে ১৫ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পানি সম্মেলন
৩৮০ বার পঠিত
বুধবার ● ২ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

উপকূলে পানি প্রতিবেশ সুরক্ষায় পাঁচদফা দাবিতে ১৫ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পানি সম্মেলন

এস ডব্লিউ নিউজ:---   সুন্দরবন ঘেঁষা পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্য ও পানি প্রতিবেশ সুরক্ষায় সরকারের কাছে পাঁচদফা দাবি তুলে ধরেছে উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটি। আগামী ১৫ জুন থেকে ১৪ আগস্ট অনলাইনে উপকূলীয় পানি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় কেসিসি’র নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটির চেয়ারপারসন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, গত ২৬ মে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলার ২৭ উপজেলা অতি জোয়ার ও জলােচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চমাঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও লােনা পানির হাত থেকে এই এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ষাটের দশকে উপকূলীয় বাঁধ নির্মিত হয়েছিল। বছরের পর বছর বাঁধগুলো সংস্কার না করা, স্লুইচ গেটগুলি যথাযথ ব্যবহার না করায় ফলে গেটগুলোর মুখে পলি ভরাট হয়ে পড়া এবং বাঁধ কেটে কৃষিজমিতে লােনা পানির চিংড়ি চাষের ফলে বাঁধগুলি অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে অনেক স্থানের বেড়িবাঁধ উপচে লােকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, ভেসে গেছে চিংড়ি ও মাছের ঘের । পানিবন্দী হয়ে আছে অনেক গ্রাম। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলাে, যে সকল এলাকার বাঁধ কেটে লােনা পানি প্রবেশ করানাে হয়েছে সেই সকল এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, জোয়ার-ভাটার প্লাবনভুমি ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ঘেঁষা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও পানি প্রতিবেশ সুরক্ষায় পাঁচদফা দাবি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবিগুলো হল- পরিবেশ, প্রতিবেশ, ও নদীর গতিপথ ঠিক রেখে সংস্কারের প্রয়ােজন আছে এমন সব বাঁধের সংস্কার কাজ

অতিসত্বর শুরু করা। স্থানীয় জনগণের অংশীদারিত্ত্ব নিশ্চিত এবং বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যতোক্ষণ পর্যন্ত প্লাবিত এলাকায় বাঁধ সংস্কার না হচ্ছে ততোদিন পর্যন্ত বিপদাপন্ন পরিবারগুলোর সামাজিক নিরাপত্তাসহ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়ােজনীয় সকল চাহিদা পুরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপকুলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক,

রাজনৈতিক, ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলােকে বিবেচনায় নিতে হবে। উপকুলীয় এলাকায় দূর্যোগ সহনীয় পুকুরসহ খাসজমিতে ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করতে হবে। সমন্বিত উপকুলীয় এলাকা ব্যবস্থাপনা পলিসি (আইসিজেডএমপি) জমি ব্যবহার (ল্যান্ড জোনিং) নীতি ও আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)