বুধবার ● ৯ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছায় হালকা ঝড়ে উড়ে গেল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বারান্দার চাল, ভেঙেছে পিলার
পাইকগাছায় হালকা ঝড়ে উড়ে গেল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বারান্দার চাল, ভেঙেছে পিলার
এস ডব্লিউ নিউজ: পাইকগাছায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বারান্দার চাল হালকা ঝড়ে উড়ে গেছে, ভেঙ্গে পড়েছে পিলার। গত রবিবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাসের সময় পাইকগাছা উপজেলায় গদাইপুর ইউনিয়ানের আলোকদিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন তৈরি ৪টি ঘরের বারান্দার চাল উড়ে যায় এবং ভেঙ্গে পরে বারান্দার দুইটি পিলার। এখানে মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।
সুফলভোগী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে ঘরের কাজ শেষ করা হয়েছে। ঘরগুলোর পিলারে কোনও রড না থাকায় একটু বাতাসেই ঘরগুলো দুলে ওঠে। ঘরের পিলারে মধ্যে জিআই এর চিকন তার ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘরগুলো নির্মাণে দুনীর্তি হয়েছে।
সরেজমিনে গত সোমবার বিকালে দেখা গেছে, চালগুলো মধ্যে একটি চাল উড়ে পাশের ডোবায় পড়ে আছে, আর একটি চাল ঘরের বারান্দায় সাথে হেলান দিয়ে রাখা আছে। দু’টি পিলার পড়ে আছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সালমা খাতুনের স্বামী আবজাল হোসেন বলেন, ১৬টি ঘরের মধ্যে মাত্র ৪-৫টি পরিবার এখানে থাকে। গতকাল ( রবিবার) বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছিল। সেই ঝড়ে চাল উড়ে গেছে আর পিলার ভেঙে পড়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী পারভীন বেগম বলেন, যাদের ঘরে চাল উড়ে গেছে তারা এখানে থাকে না।
পাইকগাছা নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রশাস্ত কুমার মন্ডল তার ফেসবুকে লিখেছেন খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌরসভা সংলগ্ন লোনাপানি মাৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে মুজিব শতবর্ষে নির্মিত আদর্শ গ্রামের (আলোকদিয়া) ঘর ০৬/৬/২০২১ তারিখ সন্ধ্যায় সামান্য ঝড়ে ঘরের পিলারসহ টিনের চালের পাখা গজিয়েছে। ঠিকাদার অনিয়ম করেছে আার কর্তারা চেয়ে চেয়ে দেখেছে। তাই এমনটি হয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এলাকাবাসী তদন্ত চাচ্ছে ।
তিনি বলেন, এখানে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। কারণ চরের কাদা দিয়ে গাঁথুনি দিলেও ভেঙে পড়ে না। দুর্ণীতি এখন সকল খানে কিন্তু এই ঘর নির্মাণে সীমাহীন দুর্ণীতি করা হয়েছে। এখন ওখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান বলেন, ওই ঘরগুলো নির্মাণ কাজে তেমন কোন ত্রুটি ছিল না। তবে ঘর নির্মাণ কাজের সময় পানির খুব অভাব হয়েছিল। আমি ও ইউএনও স্যারসহ সকলে খুব চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পর্যপ্ত পানি পাইনি। সেকারণে গাঁথুনি একটু কম মজবুত হয়েছে। সেকারণে দমকা হাওয়া পিলার ভেঙে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ঝড়ে টিনের চাল উড়ে যেতেই পারে । আমরা বসেছিলাম ঘর গুলো আরো কি ভাবে মজবুত করা যায়। ওই এলাকা দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তাতেই ওই ঘরের চাল উড়ে গেছে ও পিলার ভেঙে পড়েছে। ওই ঝড়ে উপজেলার অনেক বাড়ির চালও উড়ে গেছে।