রবিবার ● ১৩ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » করোনাকালীন সময়েও মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা
করোনাকালীন সময়েও মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
মোংলা সমুদ্র বন্দর শহরে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলেও নানা সমস্যার কারণে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছে না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। করোনার এই মহামারিকালেও সরকারি এই হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি ও সহকারী ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি পদই শূন্য। নেই এক্স-রে টেকনিশিয়ানও। হাসপাতালটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শূন্য পদগুলো পূরণ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু এখন সময়ের দাবি।
ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অধিক চাপের অক্সিজেন প্রয়োজন হলে খুলনায় পাঠাতে হচ্ছে। করোনার আক্রান্ত হয়ে যে সকল রোগীর অক্সিজেনের অতি প্রয়োজন বা বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার প্রয়োজন হয় এমন রোগীদের খুলনা পাঠাতে বাদ্য হচ্ছেন তারা।এ ছাড়া টেকনিশিয়ান না থাকায় ননটেকনিশিয়ানদের দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করানো হতো কয়েক দিন আগেও। জেলা সিভিল সার্জন এর নির্দেশে পাশ্ববর্তী উপজেলা রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএর টেকনিশিয়ান কে মোংলায় আনার পর গত সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে ৬ দিন এখানে করোনা পরিক্ষা করা হচ্ছে। তবে টেকনিশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনও। এত সল্পতার মধ্যেও হাসপাতালটিতে করোনার যে ইউনিট রয়েছে সেখানে একসঙ্গে ১৫ জনকে সেবা দেওয়া যায়। মোংলায় করোনা সংক্রমন দেখা দেয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়ে এখানে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান ডা. জীবিতেষ।
এদিকে, রবিবার দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে,প্রায় শূন্য পড়ে রয়েছে হাসপাতালের পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের বেডগুলো। করোনা বাড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা ভয়ে চলে গেছে। হাসপাতালে আসছেও কম সংখ্যক রোগী। আগে যেখানে প্রায় প্রতিদিন আড়াইশ রোগী আসত, এখন তা অর্ধশততে নেমে এসেছে। তবে করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের ভিড় দেখা গেছে।এর আগে শনিবার(১২ জুন) হাসপাতালে ৫৮ জন করোনা পরীক্ষার নমুন দেয়। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২০ এপ্রিল থেকে মোংলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের মাধ্যমে করোনার পরিক্ষা শুরু করা হয়। এর পর ১২ জুন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সএ ৫৭০ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৩১২ জনের করোনা পজিটিভ হয়। অথাৎ পরিক্ষন বিভেচনায় আক্রান্তের গড় হার শতকরা ৫৫ ভাগ । এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোংলা উপজেলার প্রায় ২০/২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়।