শনিবার ● ৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় বাল্য বিয়ের হিড়িক পড়েছে ; প্রশাসনের কড়া নজরদারি উপেক্ষিত
পাইকগাছায় বাল্য বিয়ের হিড়িক পড়েছে ; প্রশাসনের কড়া নজরদারি উপেক্ষিত
পাইকগাছা প্রতিনিধি; পাইকগাছায় লক ডাউনের মধ্যে বাল্য বিয়ের হিড়িক পড়েছে। প্রশাসনের কড়া নজরদারি উপেক্ষা করে শুধু গত সপ্তাহে ৪ টি বাল্য বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাইকগাছায় কড়া তৎপরতা থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্য বিয়ের অপতৎপরতা থামছেনা। ভ্রাম্যমান আদালত সহ বিভিন্ন প্রকার সাজা বা অর্থদণ্ড দিলেও বাল্য বিয়ে বন্ধ হচ্ছে না।গত এক সপ্তাহে যে ৪টি বাল্য বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এর মধ্যে ৩টি হয়েছে আইন বহির্ভূত নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এবং ১টি কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়ের বাবার বাড়িতে বিয়ে হয়েছে ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাড়ুলী গ্রামের আবু সায়েদ মালী তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে পার্শ্ববর্তী কাটিপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহর সাথে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দেন। লক্ষীখোলার রুহুল আমিন গাজী তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দেন পার্শ্ববর্তী রফিকুল সরদারের ছেলের সাথে। শুক্রবার হরিঢালীর আতিয়ার রহমানের ছেলে আনারুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী শ্যামনগরের আবুল হোসেনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে। ৪দিন পালিয়ে থাকার পর অভিযান চালিয়ে ছেলের মামার বাড়ি থেকে ছেলে ও মেয়েকে আটক করা হয়। একই রাতে হরিঢালীর গৌরাঙ্গ বিশ্বাস তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ডুমুরিয়ার পঞ্চানন বিশ্বাসের ছেলে সমীর বিশ্বাসের সাথে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নির্দেশে সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাহরিয়ার হক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।৪টি বাল্য বিয়েতে উপজেলা প্রশাসন পৃথকভাবে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা বাল্যবিবাহ নিয়ে মহিলা সমিতির মাধ্যমে গ্রামে সভা সমাবেশ করে মানুষকে বুঝালেও আমাদের অগোচরে তারা নাবালিকা ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, কিছু অসাধু মানুষের কারনে এ অপতৎপরতার রশি টেনে ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।আমরা এ নিয়ে থানার ওসি এজাজ শফীকে নিয়ে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেছি।কিন্তু ফল হচ্ছেনা। তবে আগামীতে এমন কোন ঘটনা ঘটলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।