শনিবার ● ২৪ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » কয়রায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কয়রায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
অরবিন্দ কয়রায় মণ্ডল, কয়রা :
কয়রায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার মঠবাড়ী গ্রামের আলহাজ্ব মোবারক আলী গাজীর পুত্র এ্যাডঃ আনিছুর রহমান।
১৯ জুলাই বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, উপজেলার দক্ষিন বেদকাশী মৌজায় এস.এ ১২৩/১ নং-খতিয়ানে আমার পিতার রেকডীয় মলিকগণদের নিকট থেকে ৯.৫০ বিঘা জমি ক্রয় করে। উক্ত জমি দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর ধরে শান্তিপুর্নভাবে ভোগদখল করে আসছি। এমনকি স্থানীয় বর্গাদারদের মাধ্যমে জমি চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করে থাকি। বিগত ১/২ বছর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্ফান ও বুলবুলের আঘাতে এলাকা প্লাবিত হলে ঐ জমি লোনা পানিতে ভরপুর থাকে। যে কারণে জমিতে চাষাবাদ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় জমির আইলের সিমানা নিয়ে স্থানীয় শাহিন গংদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা লুৎফর, সোবহান ও শাহিন গংদের বিরুদ্ধে কয়রা উপজেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১ টি মামলা দায়ের করি। যার নং- এমআর ২৩৬/২১। ঐ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। তারপর থেকে তারা আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ইতিমধ্যে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঐ নালিশী জমিতে শাহিন গংরা অন্যায়ভাবে দুটি কুড়িঘর তুলে দিয়ে জমি জবর দখলের পায়তারা করিতেছে।
গত ১৪ জুলাই আমাদের বর্গাদাররা উক্ত জমি চাষাবাদ করা অবস্থায় আমাদের ফাঁসাতে শাহিন গংরা উক্ত কুড়েঘর ২টি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক আমরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করি। ঘটনা স্থলে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও শাহিন গংরা নাটক সাজিয়ে পপি খাতুনকে মারপিঠ করে মাথায় ক্ষত করা হয়েছে এই মর্মে জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করে ছাড়পত্র নিয়ে গত ১৮ জুলাই আমাদের বর্গাদার হাবিবুরকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নামে কয়রা উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- মিস ম্যাটার ১০/২১। তারা অনেক দিন ধরে আমাদের জায়গা অবৈধভাবে দখল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপুর্বে শাহিন গংরা তাদের জমি স্ট্যাম্পে লিখে অন্য মালিকদের নিকট বিক্রি করে দিয়ে তাদের জমিতে দখল না দিয়ে আমাদের জমিতে বসিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দায়ের করি। তার কোন সুরহা না করেই তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রেহাই পেতে ও বর্গাদারদের নামে মিথ্যা মামলা হয়রানীর বিষয়টি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।