শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ৫ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » যশোরের কেশবপুরে বণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ করছেন সাইফুল ইসলাম
প্রথম পাতা » কৃষি » যশোরের কেশবপুরে বণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ করছেন সাইফুল ইসলাম
৪০৯ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৫ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যশোরের কেশবপুরে বণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ করছেন সাইফুল ইসলাম

---

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর থেকে:

যশোরের কেশবপুরে বাণিজ্যিকভাবে সৌদী খেজুর চাষ শুরু করেছেন সাইফুল নামের এক সৌখিন চাষী। কেশবপুরের আবহাওয়া ও বেলে দোয়াশ মাটির উর্বরতা বিদেশী খেজুর চাষের উপযোগী হওয়ায় সৌদি আরবের খেজুর চাষে ব্যাপক সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের খেজুর চাষী সাইফুল ইসলাম প্রায় বছর খানেক আগে বাণিজ্যিক ভাবে ৫ বিঘা জমিতে সৌদি খেজুর আবাদ করেন। শুধু খেজুর নয় তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন ড্রাগনফলের। তার এ আধুনিক প্রযুক্তির আবাদ উপজেলা ব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার ফসলে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়মিত নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন উপজেলা কৃষি অফিস। সরেজমিনে তার খেজুর বাগান পরিদর্শন করে নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি বিদগণ। ত্রিমাহিনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম প্রথমে তার নিজস্ব পরিকল্পনায় সৌদি খেজুরের আবাদ শুরু করেন। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ফসলের নিয়মিত পরিচর্যা করায় তিনি বা¤পার ফলনের আশা করছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউটিউবে খেজুর আবাদ দেখে তার বিলাসী খেজুর চাষ শুরু। তার ক্ষেতে বারী, খলিজি ও খালাদ জাতের খেজুর গাছ রয়েছে। যা কাঁচা খাওয়া যায়, এবং কাচায় মিষ্টি। ক্ষেতে সার  হিসেবে ক¤েপাষ্ট,ফসফেট, পটাশ, বোরন, জিংক ও ইউরিয়া ব্যবহার করেছেন। তার ক্ষেতের ফসলের পরিচর্যায় সার্বক্ষণিক ২০ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে তার খেজুর গাছে ধরণ আসবে বলেও তিনি আশা করছেন। সরেজমিনে তার ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, সাতবাড়িয়া ও মির্জা নগরে তার দুইটি খেজুর বাগান রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বারী, খলিজি ও খালাদ জাতের খেজুর চাষ খুবই উপযোগী। আর এ জাতের খেজুর খেতেও খুব সুস্বাদু। একবার লাগালে ৩০ থেকে ৩৫ বছর ফল খাওয়া ও বাজারজাত করা যায়। এটা অত্যান্ত লাভজনক একটি ফসল।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)