শনিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে জেলেপল্লীর মানুষ অসাহয় ; নদের ভাঙ্গনরোধে আহুত মানববন্ধন প্রশাসন কর্তৃক ভন্ডুল
কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে জেলেপল্লীর মানুষ অসাহয় ; নদের ভাঙ্গনরোধে আহুত মানববন্ধন প্রশাসন কর্তৃক ভন্ডুল
এস ডব্লিউ নিউজ:
পাইকগাছার রাড়ুলী জেলেপল্লী কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে দেড় শতাধিক পরিবার সম্পদ সম্পত্তি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছে । অবশিষ্ট ৪০টি পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। জনস্বার্থে তিনদফা দাবীতে দুটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যেগে এলাকাবাসীর আয়োজিত মানববন্ধন খোড়া অজুহাতে বন্ধ করে দিয়েছেন প্রশাসন।
উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত জেলে পল্লী। বিগত ৪০ বছর জুড়ে যেখানে ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে। বারবার পরিবর্তন হচ্ছে এলাকার চিত্র।এলাকাবাসী জানায় দেড় শতাধিক পরিবারের সম্পদ সম্পত্তি নদের গর্ভে বিলীন হওয়ায় চলে গেছে অন্যত্র। ভাঙ্গন রোধে স্থানী কোন সমাধানের ব্যবস্থা না নেয়ায় অবশিষ্ট ৪০ টি পরিবার নির্ঘম রাত কাটাচ্ছে। জানা যায় গত বছরে জিও ব্যগে বালি ভরে ভাগন কুলে ফেলে বাধ রক্ষার জন্য গত দু অর্থ বছরে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করান স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু। তবে ঠিকাদার অল্প কিছু টাকা ব্যয় করে দায়সারা কাজ করেন বলে ভুক্তভুগিরা সরজমিনে গেলে অভিযোগ করেন। এদিকে টেকসই বেড়িবাঁধ,অবিলম্বে ভাংগনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও নদের ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসন করার দাবীতে স্যার পিসি রায় স্মৃতি সংসদ ও রাড়লি ইউনিয়ন চাকুরিজীবি মানবকল্যান সোসাইটি কর্তৃক এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত শ’শ লোকের উপস্থিতি কাঙ্খিত মানববন্ধন হঠাৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁড়া অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে ক্ষুব্ধ লোকেরা জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন,অনুমতি ছাড়াই মানব করার উদ্যোগ নেয়ায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এদিকে ভাংগনরোধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাউবোর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার মজিদ বলেন, ভাঙ্গন খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুটি মন্দিরসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান, দেড় শতাধিক পরিবার এলাকা ছাড়া হয়েছে। উপজেলা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী জানান, ২০১০-২০ অর্থ বছরে বোর্ড কত পক্ষের নকশা অনুযায়ী ৭০ মিটার ভাঙ্গনে জিও ব্যাগ দেয়ার জন্য ২২ লাখ টাকা ও ২০১৮- ১৯ অর্থ বছরে ২৯০ মিটার কাজের জন্য ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয় ভাঙ্গন রোধে। আগামীতে টেকসই বাঁধের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।