শনিবার ● ২১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে কপোতাক্ষ নদের রাড়ুলী মালোপাড়ার ভাংগন রোধের কাজ শুরু
অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে কপোতাক্ষ নদের রাড়ুলী মালোপাড়ার ভাংগন রোধের কাজ শুরু
পাইকগাছা প্রতিনিধি: অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজস্ব অর্থদিয়ে পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের রাড়ুলী মালোপাড়ার ভাংগন রোধের কাজ শুরু করেছে রাড়ুলী পশ্চিমপাড়া ও মালোপাড়া বাসীরা।রাড়ুলী মালোপাড়ার নদের ভাংগনে প্রতিনিয়ত বিলীন হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ।গৃহহীন হয়ে দিশেহারা অবস্থায় জেলে পরিবারগুলী নিঘুম রাত কাটছে। মালোপাড়ার ভাংগন জনপদের নিরুপায় ও দিশেহারা মানুষ সকলের সহযোগীতা কামনা করে স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজস্ব অর্থদিয়ে ভাংগন রোধের কাজ শুরু করেছে।এ কাজে নিজস্ব অর্থদিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন রাড়ুলী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থ শাহিন গাজী।
১৫ আগষ্ট নদের ভাংগনে পরিদর্শনে যান রাড়ুলী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন গাজী। তার উপস্থিতি দেখে মালো পাড়ার ভাংগনের অসংখ্য মানুষ তার কাছে সহায়তার জন্য দাবি জানান। ২০ আগষ্ট শনিবার শাহিন গাজী তার নিজস্ব তহবিল থেকে ভাংগনের কবল থেকে মুক্তির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বাঁশ ও শ্রমিকের মাধ্যমে পাইলিং এর কাজ শুরু করেছেন।তার সাথে স্বেচ্ছশ্রমে কাজ করছে এলাকার শহাজান মোড়ল.কুদ্দুস মোড়ল,আদিত্ব দাস,টুটুল গাজী,কালাম,মশিয়ার,হাকিম,শহিদুল গাজী,রোকন সরদার.শফি শেখ,আনারুল শেখ,আজিজ শেখ,ইসলাম মোড়ল প্রমুখ। পাইলিং এর বালির বস্তা দিতে পারলে ভাংগন থেকে মুক্তির দেখা মিলবে বলে সকলে ধারণা করছে । এ ব্যাপারে শাহিন গাজী বলেন আমি অসহায় মানুষের সাথে আছি এবং থাকবো যে কোন বিপদে তাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই ।
পাইকগাছার রাড়ুলী জেলেপল্লী কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে দেড় শতাধিক পরিবার সম্পদ সম্পত্তি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছে । অবশিষ্ট ৪০টি পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার মজিদ বলেন, ভাঙ্গন খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুটি মন্দিরসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান, দেড় শতাধিক পরিবার এলাকা ছাড়া হয়েছে। উপজেলা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, ২০১০-২০ অর্থ বছরে বোর্ড কত পক্ষের নকশা অনুযায়ী ৭০ মিটার ভাঙ্গনে জিও ব্যাগ দেয়ার জন্য ২২ লাখ টাকা ও ২০১৮- ১৯ অর্থ বছরে ২৯০ মিটার কাজের জন্য ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয় ভাঙ্গন রোধে। আগামীতে টেকসই বাঁধের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।