রবিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » পাটের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি
পাটের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি
প্রকাশ ঘোষ বিধান,পাইকগাছা; পাইকগাছায় পাটের আঁশ ছাড়ানো,পাট ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা পাটের আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করছে ।এলাকার কৃষকরা জলাশয়, ডোবা,নালায় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন।সার,বীজ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ কম ও অনুকূল আবহাওয়া থকায় পাটের আঁশ ভালো হয়েছে। পাট বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি।
মৌসুমের শুরুতে পাট বিক্রি করে ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে প্রতি মন পাট তিন হাজার টাকা থেকে তিন হাজার দুশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাট ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও পাট কেনা শুরু করেছে। তাই ভালো ফলন ও আশানুরুপ দাম পেয়ে বিগত বছরগুলোতে লোকসানে পড়া কৃষকদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুটে উঠেছে। সোনালী আঁশের রঙে ভরে গেছে কৃষকের মন।
কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে,এ বছর পাটের আবাদ হয়েছে ৪১০হেক্টর জমিতে।যা গত বছর ছিল ৩৮৫ হেক্টর।উপকূলের লবনাক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভার জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।এর মধ্যে দেশীয়,তোষা ও অন্যান্য জাতের পাট রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের পাটচাষী কেসমত সরদার জানান,পাট ও পাটকাটির দাম বেশি হওয়ায় লাভ বেশী হবে। প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, সেচ, রাসায়নিক সার প্রয়োগ, পাট কাটা, শুকানোসহ খরচ হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।এবার ফলন ভালো হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ পাট পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা। আর তাতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।পাটের দাম বেশি পাওয়ায় সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয় পাট চাষীরা।পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাট চাষিরা গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি পাচ্ছেন। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পাটের সুদিন ধরে রাখা সম্ভব হবে।