শনিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার চাঁদখালীতে নৌকা প্রতীক পোড়ানো ও চশমার পোষ্টার ছেড়ার ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ
পাইকগাছার চাঁদখালীতে নৌকা প্রতীক পোড়ানো ও চশমার পোষ্টার ছেড়ার ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নে বাঁশের চটা দিয়ে তৈরী নৌকা প্রতীক পোড়ানো ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর চশমার পোষ্টার ছেড়ার ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন অফিসে। ঘটনা ২টি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১১ টা ও সন্ধ্যা ৬ টায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তোজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়,উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মুনছুর আলী গাজী ও স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাদা ইলিয়াস। দু জনের নির্বাচনী কার্যালয় শাহপাড়ার ফুলতলা নামক স্থানে । আ`লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মুনছুর আলী গাজী অভিযোগ করেছেন, চশমা প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমেরিকা ফেরত শাহজাদা আবু ইলিয়াসের নেতৃত্বে তার কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে যাওয়ার পথে ত্রাস সৃষ্টি করে এ অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে শনিবার সকালে শত শত নৌকা প্রতিকের নেতা- কর্মী ও সমর্থকরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন । পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এ ঘটনায় নৌকা প্রতিকের কর্মী দেবদুয়ার গ্রামের জালাল উদ্দীন আহম্মদের ছেলে জি এম হাবিবুল্লা হাবু বাদী হয়ে চশমা প্রতিকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থদের মধ্যে বেলা গাজীর ছেলে মঞ্জুরুল গাজী, মোজাম গাজীর ছেলে রেজাউল গাজী, আক্তারুল গাজীর ছেলে রিপন গাজী, সুলতান গাজীর ছেলে বাবুল গাজী, জাফর গাজীর ছেলে আরিফ গাজী, লুৎফর মোড়লের ছেলে মনিরুল মোড়ল, গোলাম বারীর ছেলে টেনা গাজী, আকের আলীর ছেলে আবুল হোসেন, আবুল কালামের ছেলে ওবায়দুল্লাহ সহ ১৫ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এদের বাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। অপরদিকে প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদা ইলিয়াসের চশমা প্রতীকের অফিসের পোষ্টার ছেড়া ও তাদের মারপিট করায় থানায় পৃথক অভিযোগ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে চশমা প্রতিকের প্রার্থী শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস বলেন, অমি ও অমার কর্মীরা সরকারী দলের প্রার্থীর হুমকিতে রয়েছি। তিনি অরো বলেন, তদন্ত পূর্বক এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় অনার দাবী জানান। উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওসি তদন্ত স্বপন রায় জানান,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি দুপক্ষের কাছে বিষয়টি শুনেছি ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখা লাগবে।