বুধবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » রাজনীতি » পাইকগাছায় জামানত হারাচ্ছেন ১৯ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী
পাইকগাছায় জামানত হারাচ্ছেন ১৯ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী
এস ডব্লিউ নিউজ: প্রথম ধাপে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পাইকগাছার ৯টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়েছে।উল্লেখ্য, হরিঢালীতে ১জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুর কারনে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,ঘোষিত ফলাফলে কম ভোট পাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১৯ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
এরমধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছাদুল বিশ্বাস (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুর রব (হাতপাখা), জাকের পার্টির প্রার্থী শেখ ইফতেখার আল মামুন সুমন (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ নাজমুল হোসেন (মোটরসাইকেল)। লতা ইউনিয়নের তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অলি সরদার (হাতপাখা)।দেলুটি ইউনিয়নের তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোলটন মণ্ডল (ঘোড়া)।সোলাদানা ইউনিয়নের চার প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন জাকের পার্টির প্রার্থী ইয়াসির আরাফাত (গোলাপ ফুল) ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী নুরুল ইসলাম গাজী (হাতপাখা)।লস্কর ইউনিয়নের চার প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল (ঘোড়া) গদাইপুর ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আব্দুস সালাম (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ জাকির হোসেন (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী (মোটরসাইকেল)।রাড়ুলী ইউনিয়নের তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ গোলদার (আনারস)।গড়ইখালী ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম এনামুল হক (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোস্তফা কামাল (ঘোড়া) ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ফারুক হোসেন মোড়ল (হাতপাখা)। চাঁদখালী ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তা গাউছল হক (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান উল্লাহ (আনারস) ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম গাইন (হাতপাখা)।
খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্রে (কাস্টিং ভোট) পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২.৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়।