বৃহস্পতিবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » মুক্তমত » পিটিআই ইন্সট্রাক্টর সঙ্কট সমাধান হোক
পিটিআই ইন্সট্রাক্টর সঙ্কট সমাধান হোক
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে পিটিআইসমূহে ইন্সট্রাক্টরের অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন বিষয়ের ইন্সট্রাক্টর পদ শূণ্য থাকায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পিটিআইসমূহে ৯ম গ্রেডের ৭২টি শূণ্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভার মাধ্যমে বিপিএসসি ২৮ অক্টোবর, ২০২০ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত সুপারিশ করে। চূড়ান্ত সুপারিশের দীর্ঘ ১১ মাস হলেও কোন এক অজানা কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও গেজেট প্রকাশ করতে পারছেন না।
পিটিআইসমূহের জনবল কাঠামো অনুযায়ী ১জন সুপারিনটেনডেন্ট ও ২জন সহকারি সুপারিনটেনডেন্ট ছাড়াও অনুমোদিত ১৭টি ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ ইন্সট্রাক্টর ১২টি এবং বিষয়ভিত্তিক ইন্সট্রাক্টর ৫টি) পদ থাকলেও অধিকাংশে ৮-১০জন নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আবার কোন পিটিআই চলছে ৩-৪জন ইন্সট্রাক্টর দিয়ে। অধিকাংশ পিটিআই এ প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রাক্টর নাই। ফলে ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া অনেকটা কঠিন হচ্ছে। এতে মানসম্মত শিক্ষার পরিকল্পনা দুরূহ হচ্ছে। তাই মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে ইনস্ট্রাক্টর ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
সুপারিশপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টরগণের অভিভাবকরা দীর্ঘদিন থেকে অপেক্ষায় আছেন কখন তাদের পরিবারের সদস্যের বেকারত্ব দূর হবে। আবার কেউ ৯ম গ্রেডের চাকুরি পাচ্ছেন ভেবে অন্য ছোট চাকুরি ছাড়ার পরিকল্পনাও করছেন। শুধু ইন্সট্রাক্টরগণই অপেক্ষার প্রহর দেখছেন না বরং পিটিআই সুপারগণও চেয়ে আছেন সুপারিশপ্রাপ্তরা কখন আসবেন। কারণ মাঠ পর্যায়ে শতকরা ৪০-৫০ ভাগ জনবল দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সস্টিটিউট (পিটিআই) পরিচালনা করা সত্যি কষ্টকর। তাই শত বাধা দূর করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সুপারিশপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টরগণের গেজেট প্রকাশ করে পদায়ন নিশ্চিত করুক এটাই সকলের চাওয়া।
সেলিম রেজা
শিক্ষার্থী
অর্থনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
সাভার, ঢাকা।