শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ২২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় সুপারির হাট জমে উঠেছে
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় সুপারির হাট জমে উঠেছে
৫৭৫ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২২ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় সুপারির হাট জমে উঠেছে

 

 প্রকাশ ঘোষ বিধান ॥

পাইকগাছার গদাইপুর সুপারির হাট জমে উঠেছে।এখন সুপারির ভরা মৌসুম চলছে।ফলে বাগান মালিক খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা সুপারি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। উপজেলার আগড়ঘাটা,বাকা,নতুন বাজার,কপিলমুনিসহ--- বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে সুপারি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর সুপারির ফলন খুব বেশি ভাল হয়নি।তবে দাম আশানারূপ।

 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে,উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৪শতটি। গাছ প্রতি গড়ে ৪শ ৪০টি সুপারির ফলন হয়েছে। প্রায় গাছে ৩ থেকে ৪ কাধি সুপারির ফলন ধরে। কোন কোন গাছে সর্বনি¤œ ৫০ থেকে ১৫০ আবার কোন কোন গাছে ৬ থেকে ৭শ সুপারি ফলন হয়। লবণাক্ত এ উপজেলার ভূমির অবস্থান উচু ও বিলান এবং নিচু ও বিলান জমির পরিমাণ বেশী। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর,হরিঢালী,কপিলমুনি,রাড়ুলী সুপারি গাছের পরিমাণ বেশী। চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় সুপারি গাছ রয়েছে।বাকী ইউনিয়ন গুলোতে গাছ নেই বললেই চলে।সুপারির ভরা মৌসুমে হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণ সুপারি বিক্রি হচ্ছে।---


বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের হাটে প্রচুর পরিমাণ সুপারি সরবরাহ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে পাইকারী সুপারি ক্রয় করে এলাকার বাইরে মোকাম গুলোতে বিক্রি করছে। তাছাড়া স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা সুপারি ক্রয় করে গুদামজাত করছে।যা পরে শুকিয়ে বা পানিতে মজিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করা হবে। গদাইপুর গ্রামের সুপারি বাগান মালিক শফিকুল ইসলাম জানান,এ বছর সুপারির ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং বাজার মূল্য ভাল,এতে তিনি খুশি।নতুন করে আরেকটি সুপারি বাগান গড়ে তুলবেন বলে জানান।স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান,অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে প্রচুর পরিমাণ সুপারি উঠছে।সুপারির দাম কম- বেশী হয়,এখন ২৫০ থেকে  ৪০০ টাকা দরে কুড়ি বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে পাইকারী সুপারি কিনে বড়দল, সোলাদানা, শান্তাসহ পাশ্ববর্তী হাট-বাজারের আড়ৎ গুলোতে সুপারি বিক্রয় করে। সুপারির হিসাব অঞ্চল হিসাবে ভিন্ন। এ এলাকায় এক কুড়ি (৫৫গোন্ডা) অর্থাৎ ২২০টি সুপারি। মৌসুমের শুরুতে সুপারির দাম বেশী থাকলে বর্তমানে দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় অনেকেই সুপারি ক্রয় করে মজুদ করতে শুরু করেছে। যা পরবর্তীতে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করবেন বলে মজুদকারীরা জানিয়েছে।---

সুপারি বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। সুপারি স্থানীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। সুপারি কাঁচা, শুকনা, মজানো-ভিজা পান পাতা দিয়ে মুড়িয়ে খিলি বানিয়ে খাওয়া হয়। সুপারি ছাড়া পানের পূর্ণতার কথা ভাবা যায় না। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সুপারি ব্যবহার হয়। অনেকের আবার শুধু সুপারি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠির এক দশমাংশ সুপারি খান। শিশু, নারী ও পুরুষ সুপারি ব্যবহার করেন। তবে পুরুষের মধ্যে সুপারির ব্যবহার বেশী। উল্লেখ্য সুপারির কারণে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি।---

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান,সুপারি এ অঞ্চলের একটি অর্থকারী গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তাছাড়া এ এলাকার সুপারির মানও ভালো। তবে লম্বা সুপারি গাছ গুলো মরে যাওয়ায় অথবা কেঁটে ফেলায় নতুন করে সুপারির বাগান তেমন একটা গড়ে উঠছে না। তাই কৃষি অফিস থেকে নতুন করে সুপারি বাগান তৈরীর জন্য বাগান মালিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)