শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় খেঁজুর রসের তীব্র সংকট
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় খেঁজুর রসের তীব্র সংকট
৬৩৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় খেঁজুর রসের তীব্র সংকট

---

মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা।

পাইকগাছায় তীব্র সংকট চলছে খেঁজুর রসের। আগাম বুকিং দিয়েও মিলছে না রস, এমনকি এক হাঁড়ি রসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। তীব্র সংকটের মধ্যে কিছুটা হলেও চাহিদা পূরণ করছে লোনা পানি মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের উৎপাদিত রস। তবে চাহিদা এতটাই বেশি সরবরাহ করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় রস সংগ্রহকারীদের। প্রতিদিন সূর্য উদয়ের আগেই কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেয় অসংখ্য ক্রেতা। উল্লেখ্য খেঁজুর রসের জন্য উপকূলীয় এ এলাকা এক সময় খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তণে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেঁজুরের রস ও গুড়। বিগত কয়েক বছর আগেও এলাকার প্রতিটি বাড়ীতে, খেতের আইলের পাশে ও রাস্তার দু’ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেঁজুর গাছ। কোন প্রকার পরিচর্চা ছাড়ায় অনেকটাই প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠত খেঁজুর গাছ গুলো। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রসদিয়ে তৈরী করা হতো গুড়। খেঁজুর গুড় অত্যান্ত সুস্বাদু হওয়ায় এলাকার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি গুড় সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব, লবণ পানির আগ্রাসন ও জ্বালানী হিসাবে ইট ও টালী পোড়ানোর কাজে অবাধে খেঁজুর গাছ ব্যবহারের ফলে মারাত্বক ভাবে হ্রাস পায় খেঁজুর গাছ। বর্তমানে বসতবাড়ী কিংবা ক্ষেত খামারের পাশে এমনকি রাস্তা-ঘাটের পাশেও দেখা মেলেনা খেঁজুর গাছের। অনেকটাই বিলুপ্তির পথে পরিবেশ বান্ধব গুরুত্বপূর্ণ এ গাছ।  রস সংগ্রহ করে অনেকেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করলেও অধিকাংশরাই ছেড়ে দিয়েছেন পূর্বের এ পেশা। দু’একজন এখনো ধরে রেখেছেন পূরোনো এ পেশা। ব্যক্তি পর্যায়ে অসংখ্য খেঁজুর গাছ এখন আর তেমন কারও নাই। তবে পৌর সদরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, লোনা  পানি কেন্দ্রের অভ্যন্তরে রয়েছে দু’শতাধিকের ও অধিক খেঁজুর গাছ। যা বিগত কয়েক বছর এলাকার রসের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এ বছরও এলাকার একমাত্র রস প্রাপ্তির স্থান হচ্ছে লোনা পানি কেন্দ্র। তাই প্রতিদিন ভোরে কেন্দ্রের সামনে এক হাড়ি রসের জন্য উপস্থিত হয় অসংখ্য নারী-পুরুষ। কিন্তু উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় কাক ডাকা ভোরে উপস্থিত হয়েও মিলছেনা এক হাড়ি রস। রস নিতে আসা আব্দুল হাই জানান, এমনকি আগাম বুকিং দিয়েও অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর দামও বেড়েছে কিছুটা। রস সংগ্রহ কারী আব্দুল করিম জানান, চাহিদার তুলানায় উৎপাদন কম হওয়ায় রসের এ সংকট চলছে। গাছের সংখ্য কমে যাওয়ায় প্রতি বছরই রসের প্রাপ্তিতাও কমে আসছে এ বছর প্রতি হাড়ি রস ৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।





কৃষি এর আরও খবর

পাইকগাছায় শীত মৌসুমে রাড়ুলীর দু’মৌজায় মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে বোরো ধান রোপনে কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ পাইকগাছায় শীত মৌসুমে রাড়ুলীর দু’মৌজায় মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে বোরো ধান রোপনে কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ
পাইকগাছায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে আমন ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি পাইকগাছায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে আমন ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ মাগুরা সদর উপজেলা কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ
বারি-১ মালটা চাষে বাজিমাত ওবায়দুলের বারি-১ মালটা চাষে বাজিমাত ওবায়দুলের
লিডার্স এর  আয়োজনে শ্যামনগরে গ্রামীন  নারী কৃষি মেলা উদযাপন লিডার্স এর আয়োজনে শ্যামনগরে গ্রামীন নারী কৃষি মেলা উদযাপন
পাইকগাছায় বিশ্ব খাদ্য দিবস ও ইদুর নিধন অভিযান দিবসের আলোচনা সভা পাইকগাছায় বিশ্ব খাদ্য দিবস ও ইদুর নিধন অভিযান দিবসের আলোচনা সভা
টানা বর্ষণে কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট মাগুরায় লাগামহীন সবজি দাম ; বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ টানা বর্ষণে কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট মাগুরায় লাগামহীন সবজি দাম ; বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ
আশাশুনিতে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর সবজী ক্ষেত অতিবৃষ্টিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ আশাশুনিতে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর সবজী ক্ষেত অতিবৃষ্টিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ
পাইকগাছায় পাঁচ পাটচাষীকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে পাইকগাছায় পাঁচ পাটচাষীকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে
শ্রীপুরে তালবীজ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন শ্রীপুরে তালবীজ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)