সোমবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি; ক্ষেতের ধান নিয়ে চিন্তিত কৃষক
পাইকগাছায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি; ক্ষেতের ধান নিয়ে চিন্তিত কৃষক
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলীয় জনপদ পাইকগাছাতে শনিবার থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে রোববার ও সোমবার হালকা ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে আকাশজুড়ে কালো মেঘে ভেসে বেড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেতে পাঁকা ধান বাতাস ও বৃষ্টিতে হেলে পড়েছে। এতে পাঁকা ধানের সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ে কৃষকের মধ্যে আশঙ্কা বিরাজ করছে।
উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। আর ৭/৮ দিনের মধ্যে কৃষকরা এ ফসল ঘরে তুলতে পারতো। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টিতে আমন ধান নিয়ে কৃষকরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
শীত ও অসময়ের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভ্যান চালক মোঃ বিশে গাজী বলেন, গত দুইদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় যাত্রী নেই, রোজগার হচ্ছে না। গরিব মানুষ, বৃষ্টি ও এই ঠান্ডা মাথায় ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। তাই কষ্ট হলেও উপায় নেই। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে জন জীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে। পাইকগাছায় ভারী বর্ষণ ও দিনব্যাপী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কৃষকরা জানান, তাদের ক্ষেতে এখন পাঁকা আমন ধান কাটতে বাকী রয়েছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের ধান কাটা শেষ হয়েছে। গড়ইখালী, চাঁদখালী ইউনিয়নের নিচু এলাকার কিছু ধান ক্ষেতের ধান কাটতে এখনো বাকী আছে। নিচু জায়গাতে হালকা পানি জমলেও ধানের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। কৃষকদের নিচু জায়গার ধান ক্ষেতের আইলের উপর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ধানের ক্ষতি কম হবে।