সোমবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ » পাইকগাছায় পাখি শিকার রোধে ওসির সাথে মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ
পাইকগাছায় পাখি শিকার রোধে ওসির সাথে মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় পাখি শিকার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থানার ওসি মোঃ জিয়াউর রহমানের সাথে পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে থানায় অনুষ্ঠিত সভা ও লিফলেট বিতরনে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবির সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, আব্দুর রহমান, মহানন্দ অধিকারী মিণ্টু, জগদীশ চন্দ্র রায়, মনোহর সানা, সঞ্জীব কুমার রায়, পরিবেশ কর্মি রাম প্রসাধ সানা, প্রশান্ত মন্ডল, ত্রিনাথ বাছাড়, পলাশ রায় ও দিপক কুমার মন্ডল। ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, এলাকার কিছু অসাধু লোক শীতকালে অতিথি পাখি শিকারে তৎপরতা চালায়। অতিথি পাখি শিকার রোধে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ পাখি শিকার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবি’র উদ্যোগে পাইকগাছার পৌর বাজারে লিফলেট বিতারণ করা হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষেতের পোকামাকড় খেয়ে পাখি কৃষকের উপকার করে। তাই পাখিকে কৃষকের বন্ধু বলা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় দেশের জীববৈচিত্র, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৪৯ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাখি শিকার দন্ডনীয় অপরাধ। ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দন্ডের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে। তাই পাখি শিকার রোধে সকলকে সচেতন থাকার জন্য আহবান জানিয়েছে পরিবেশ কর্মীরা।