বৃহস্পতিবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » ১ মণ চিনি ও চুন দিয়ে ২ মণ খেজুর গুড়
১ মণ চিনি ও চুন দিয়ে ২ মণ খেজুর গুড়
এস ডব্লিউ; মানিকগঞ্জের হাজারি গুড়ের সুনাম ও চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু মৌসুমি গুড় ব্যবসায়ী খেজুর রসের সঙ্গে চিনি ও চুন মিশিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে হাজারি গুড়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। জেলার এই ঐতিহ্যবাহী গুড়ের সুনাম রক্ষার্থে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিনা করেছে জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, মজমপাড়া, হাপানিয়া ও গোপিনাথপুর এলাকায় ভেজালবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। এ সময় ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে তিন গুড় ব্যবসায়ীকে মোট ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।সংশ্লিষ্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, খেজুর রসের সঙ্গে চিনি ও চুন মিশিয়ে কিছু অসাধু মৌসুমি ব্যবসায়ী গুড় তৈরি করে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, মজমপাড়া, হাপানিয়া ও গোপিনাথপুর এলাকায় ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।এ সময় দেখা যায়, এক মণ খেজুর রসের সঙ্গে এক মণ চিনি ও চুন দিয়ে দুই মণ খেজুরের ভেজাল গুড় তৈরির কাজে ব্যস্ত রাজশাহীর মৌসুমি গুড় ব্যবসায়ীরা। খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করা গুড়ে বসেছে মাছি। অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী উপজেলার ঠাকুরপাড়া এলাকার গুড় ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়াকে ৮ হাজার টাকা, হাপানিয়া এলাকার রমজানকে ৪ হাজার টাকা এবং মজনু মিয়াকে ৬ হাজার টাকাসহ তিন ব্যবসায়ীকে মোট ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ভেজাল গুড় তৈরি না করতে তাদের সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, মানিকগঞ্জের হাজারি গুড়ের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে। এই সময়ে কিছু অসাধু মৌসুমি গুড় ব্যবসায়ী অন্য জেলা থেকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এসে এই ভেজাল গুড় তৈরি করে। এতে হাজারি গুড়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। হাজারি গুড়ের সুনাম রক্ষার্থে এ ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খেজুর রসের সঙ্গে চিনি ও চুন মিশিয়ে গুড় তৈরির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয় এবং ভেজাল গুড় তৈরি না করতে সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ভেজাল বিরোধীঅভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে হরিরামপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, ক্যাবের কার্যকরী সদস্য আতাউর রহমান ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করে।