শনিবার ● ১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » স্থায়ী ঠিকানায় বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী ঠিকানায় বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এস ডব্লিউ; করোনা মহামারির কারণে এক বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হলো এ বছরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার নতুন প্রাঙ্গণ আগের ঠিকানা শেরে বাংলা নগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার।
পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো স্থায়ী ঠিকানায় শুরু হওয়া মেলা শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের মেলার জায়গাটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি কথা বলতে চাই। এই যে জায়গাটা আমরা করে দিলাম। স্থায়ী ব্যবস্থাই এর ছিল লক্ষ্য।
‘আপনারা (ব্যবসায়ী) চিন্তা করেন কত টাকা সাশ্রয় করেছেন। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিয়েছি। প্রথম অনুষ্ঠান, কিছু সমস্যা হতে পারে। কাঠামো তো তৈরি করে দিয়েছি, এখন কোনো সমস্যা হলে সেটা আপনারাই ঠিক করে নেন। কিছু খরচা করেন।’
তিনি বলেন, এই মেলার ফলে পণ্যের চাহিদা জানা ও সে আলোকে পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরণের আইডিয়া পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
২৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে আমাদের সমীক্ষা শেষ করেছি। নানা ধরনের চুক্তি তাদের সঙ্গে আমরা করবো। আমরা চাই, বাণিজ্যিক কূটনীতি প্রসার হোক, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, করোনায় ব্যবসা ধরে রাখতে এবং এগিয়ে যেতে নানা প্রণোদনা দিয়েছি। করোনায় ব্যাংকের সুদ ৫০ ভাগ আপনাদের দিতে হবে, বাকিটা আমরা ভর্তুকি দিয়ে দিচ্ছি। এই করোনায় অনেক দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতি চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে। সেটাও অতিক্রম করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন, সেটা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।আয়োজকরা জানান, মাসব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এটি রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা, শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার (প্রায় ১,৫৫,০০০ বর্গফুট) আয়তনের দুটি হলে (হল-এ ও হল-বি) এসব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
এবার মেলায় প্রদর্শন করা হবে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কারপেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, ষ্টেশনারী, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।