মঙ্গলবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে প্রভাষক কে শোকজ
ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে প্রভাষক কে শোকজ
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছার কপিলমুনিতে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে কপিলমুনি কলেজের প্রভাষক সৌমিত্র সাধুকে শোকজ করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি হতে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ায় জন্য শোকজে বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে এইচএসসি পরিক্ষার ফল প্রত্যাশী কপিলমুনি কলেজের এক ছাত্রী প্রভাষক সৌমিত্র সাধুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ করেছেন। কলেজ সভাপতি বরাবর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী। শ্রেণিতে শিক্ষারত অবস্থায় পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষকের নিকট পড়াশুনা করতেন। ছয় মাস আগে তার পিতা মারা গেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভিক হলেও শ্রেণিতে (কোচিং সেন্টার) পড়তে যেতেন না। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রভাষক সৌমিত্র সাধু তাকে যেতে বলেন। গত ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর প্রভাষক সৌমিত্র সাধু নিকট পড়তে গেলে ক্লাসের শেষে প্রভাষক সৌমিত্র সাধু তার সাথে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন।
কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম না প্রকাশে শর্তে বলেন, ঘটনাটি প্রভাষক সৌমিত্র সাধু কপিলমুনি বাজারের পূর্ব পাশে পরিত্যাক্ত বীরাঙ্গনা গুরুদাসীর বাড়ির পাশে কোচিং সেন্টারে ঘটেছে। অন্যান্য ছাত্রীর সাথে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট শেষে সকলকে ছুটি দিলেও এ ছাত্রীকে থাকতে বলে। এ সময় ছাত্রী কোচিং ফি দিতে গেলে বলে তোমার টাকা দিতে হবে না। তোমার শরীর খারাপ ফল কিনে খাবে বলেই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। ঘটনার পর কলেজ নিকটে ছাত্রীর আতœীর বাড়ী যেয়ে কান্নাকাটি করে। প্রভাষক সৌমিত্রকে আতœীয় ফোনে ছাত্রীর কান্নাকাটির বিষয় জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। কলেজের অধ্যক্ষ অফিসের কাজে বাহিরে থাকায় দ্বায়িত্ব থাকা সহকারী অধ্যাপক ত্রিদিব কান্তি মন্ডলকে ফোন করে ছাত্রীর আতœীয় জানান। আতœীর ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীর মা ঘটনা শুনে জ্ঞানশূন্য হয়ে যান। ঘটনা ধাঁমা চাপা দিতে প্রভাষক সৌমিত্র বিভিন্ন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইতি পূর্বেও একাধিক ছাত্রী সাথে এমন অশ্লীল আচারণ করলেও লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি তারা। এ ছাত্রী জেএসসি ও এসএসসিতে গ্লোডেন এ প্লাস পেয়েছেন। প্রভাষক সৌমিত্র সাধুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কলেজের সহকারী অধ্যাপক ত্রিদিব কান্তি মন্ডল বলেন ঘটনা লোক মুখে শুনেছি। কলেজ গভার্রিংবডি সদস্য শেখ দীন মাহমুদ বলেন, যদিও ঘটনাস্থল কলেজের বাহিরে তবে ঘটনা সত্য হলে ক্ষমা করা কোন সুযোগ নেই। প্রভাষককের জন্য প্রতিষ্ঠান বদনাম নিবে না। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, বাই পোষ্টে ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ১৫ জানুয়ারি প্রভাষকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ায় জন্য শোকজ করা হয়েছে। সে ছাত্রী হিসাবে ভালো ও মেধাবী। এইচএসসিতেও ভালো রেজাল্ট করবে বলে আশাবাদী। অভিযোগকারী ছাত্রী তার সাথে ঘটে যাওয়া অশ্লীল আচারণের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।