শুক্রবার ● ২১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » খুলনার দুই ব্যবসায়ীকে রংপুরে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ২
খুলনার দুই ব্যবসায়ীকে রংপুরে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ২
খুলনার দুই নার্সারি ব্যবসায়ীকে রংপুরে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৩। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রংপুর র্যাব-১৩-এর অস্থায়ী সদর দপ্তরে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার দু’জন হলেন গাইবান্ধার ধাপেরহাট এলাকার ইছা মিয়া (৩৫) ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আবদুল লতিফ। ইছা মিয়াকে গাইবান্ধা জেলার ধাপেরহাট এবং তাঁর সহযোগী আবদুল লতিফকে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিষয়টি স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালী এলাকার খন্দকার শাহাবুল ইসলাম বিশুদ্ধ অ্যাগ্রো নার্সারির মালিক। স¤প্রতি মুক্তিপণ দাবিকারী চক্রের সদস্য ইছা মিয়া ও আবদুল লতিফ ছদ্ম নামে চারা ক্রয়ের জন্য সেখানে যান। পরিদর্শনে গিয়ে তাঁরা অনেক চারা ক্রয় করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে মাটি পরীক্ষার জন্য ওই নার্সারির মালিককে রংপুরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ডাকে সাড়া দিয়ে খুলনা থেকে বাসে করে ১৩ জানুয়ারি খন্দকার শাহাবুল ইসলাম (৫৭) ও ফারুক হোসেন (৩২) রংপুরের মডার্ন এলাকায় আসেন। সেখান থেকে দু’জনকে মোটরসাইকেলে করে গঙ্গাচড়া উপজেলার ফুলবাড়ির চওড়া গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে যায় প্রতারক চক্রটি। সেখানে একটি কক্ষে চোখ ও হাত বেঁধে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় তাঁদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
র্যাব জানায়, টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নার্সারি ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে চক্রটি। বিষয়টি স্বজনদের মাধ্যমে র্যাব-১৩ জানতে পেরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান চালিয়ে গত বুধবার চক্রটির হোতা ইছা মিয়াকে গাইবান্ধা জেলার ধাপেরহাট এবং তাঁর সহযোগী আবদুল লতিফকে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গ্রেফতার করে। রুহুল আমিন নামের অন্যজনকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি একই চক্রের বাচ্চু চন্দ্র (৫২), স্বপন রায় (২২) ও খাদিজা বেগমকে (৩৭) গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর চওড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, একটি গুলি, ৩টি দেশীয় অস্ত্র ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই অপহৃত নার্সারি ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে র্যাব।