শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ২১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় পরকিয়ার জেরে পুস্পেন্দু বিকাশ খুনের মামলার বাদী স্ত্রী অনুভা জেলা-হাজতে
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় পরকিয়ার জেরে পুস্পেন্দু বিকাশ খুনের মামলার বাদী স্ত্রী অনুভা জেলা-হাজতে
৪১১ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২১ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় পরকিয়ার জেরে পুস্পেন্দু বিকাশ খুনের মামলার বাদী স্ত্রী অনুভা জেলা-হাজতে

 

 

পাইকগাছা প্রতিনিধি;--- পাইকগাছায় চতুর্মুখি পরকিয়ার জেরে পুস্পেন্দু বিকাশ (বাবু) হত্যা মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী অনুভা মন্ডল জেলা-হাজতে। চলতি ১০ জানুয়ারি পাইকগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার ধার্য্য দিনে শুনানীন্তে বিজ্ঞ বিচারক বাদীকে জেলা-হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় অন্য আসামীদের সাথে অনুভা’র জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডি তার বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক ( চার্জশিট) অভিযোগ পত্র দাখিল করলে তা গৃহীত হয়। এর পুর্বে থানা পুলিশের তদন্ত সহ ডিবি পুলিশ তদন্তপুর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। এ হত্যা মামলায় তদন্তপ্রাপ্ত আসামী পবিত্র মন্ডল,সুজন রঞ্জন,এজাহার নামীয় একরামুল,শামিম ও নিহতের শ্বাশুড়ি নীলা জামিনে মুক্ত আছে ও তদন্তপ্রাপ্ত আসামী গৌর বাইন পালাতক রয়েছে।

জানাগেছে,গত ২৯ নভেম্বর-১৬ সালে পুস্পেন্দু বিকাশ ( বাবু) রাত ৮ টার দিকে সুড়িখালী বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী বগুড়ারচকে আসছিলেন। এক পর্যায়ে রহিম হাজীর ঘেরের কাছা-কাছি পৌছালে পিছন দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে ভাড়াটে খুনি কয়রার চান্নিরচকের শামিম গাজী (২৪),একরামুল গাজী (১৭), পাটনীখালীর সুজন রঞ্জন (৩০) গংরা বাবু’র মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে নির্মম ভাবে খুন করে পালিয়ে যায়। খুনের পর শামিম ও একরামুল মোটরসাইকেলে চান্নিরচকের দাইপাড়ায় পৌছালে এ সময় মোটরসাইকেলের চেইন ছিড়ে গেলে ওরা গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়। যা পুলিশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অনুভা মন্ডল বাদী হয়ে শামিম, একরামুল সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন,। খুনের একদিন পর স্থানীয়দের সহায়তায় কযরার নারায়নপুর বাজারের একটি সেলুন থেকে শামিমকে গ্রেফতার করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই ও বর্তমান বাগেরহাটে কর্মরত ডিবি’র ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার রায়। শামিমের তথ্য মতো একরামুল গ্রেফতার হন। এরা দু’জনই খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা বলে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়। তদন্তের এক পর্যায়ে আলোচিত মামলটি ৩১-৮-১৭ সালে গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) তে হস্তান্তর হয়। ডিবি’র ইন্সপেক্টর এসএম আলমগীর কবির তদন্তে প্রাপ্ত পালাতক কয়রার পাটনিখালী গ্রামের পবিত্র মন্ডল ( ৩০) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করান। তদন্তের এক পর্যায়ে তার বদলী হলে ডিবি’র ৩য় তদন্তকারী পুলিশ পরিদর্শক গোপাল চন্দ্র রায় নিয়োজিত হলে তার তদন্তে এ হত্যা মামলার ব্যপক রহস্য উদঘাটন হয়। থানা পুলিশের তদন্ত ও ডিবি সহ সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক খান গোলাম ছরোয়ারের দেয়া সম্পূরুক অভিযোগ পত্রে উল্লেক করা হয়েছে বিয়ের পর পুস্পেন্দু বিকাশ বাবু ( ৪০) ও স্ত্রী অনুভা মন্ডলের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল। তাদের ঔরসে পুত্র ত্রিদিপ ও কন্যা অর্নি জন্ম গ্রহন করে। এরই মধ্যে বাবু’র শ্যালিকা স্মৃতিকনা মন্ডল পশ্চিম বাইনবাড়ীয়ার গৌরপদ বাইনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জানাজানির পর বাবু ও গৌর বাইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও হাতাহাতি হলে শ্বাশুড়ির অনুরোধে স্মৃতিকনাকে বাবু’র বাড়ীতে এনে রাখে। এথানে কিছুদিন যেতে না যেতেই বাবু ও স্মৃতিকনার মধ্যে অবৈধ সম্পক গড়ে উঠে। এ ঘটনায় বাবু ও অনুভা’র মধ্যে অশান্তি ও এমনকি সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এদিকে বাবু’র বন্ধু পাটনীখালীর পবিত্র মন্ডল বগুড়ারচকে বাবুর বাড়ীতে আসলে অনুভার পরিচয় হয়। এ পরিচয় এক সময় পবিত্র ও অনুভা দু’জনে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চর্তুমুখি সম্পর্কের জেরে বাবু-অনুভা দম্পতি সংসারে চরম সংকট দেখা দেয়। তিক্ততার এক পর্যায়ে শ্বাশুড়ি নীলা, স্ত্রী অনুভা,শ্যালিকার পর্ব প্রেমিক গৌর ও পবিত্র বাবকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। খুনের ১ সপ্তাহ পুর্বে পবিত্র’র চায়ের দোকানের পিছনে শামিম,একরামুল,গৌর ও সুজন একত্রে বসে। এ সময় পবিত্র বাবুকে শায়েস্তা করার জন্য শামিম ও একরামুলকে ৫০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ঘটনার দিন ২৯ নভেম্বর- ১৬ সালে শামিম ও একরামুল সন্ধ্যার পুর্বে শুড়িখালী ব্রীজের কাছে অবস্থান নেয়। বাবু শুড়িখালী বাজরের কাজ শেষে রাত ৮ টার পর মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিলেন। এ সময় পবিত্র মোবাইলে শামিম ও একরামুলকে জানিয়ে দিলে ওরা একটি মোটরসাইকেলে পিছু নেয়। বাবু পাতড়াবুনিয়া রহিম হাজীর ঘের পর্যন্ত পৌছালে শামিম,একরামুল গংরা তার গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ী দিয়ে বাবু’র মাথায় উপুর্যপুরি আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে আনার পথে অতিরিক্ত রক্ষক্ষনে বাবু’র মৃত্যু হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অনুভা মন্ডল বাদী হয়ে শামিম, একরামুল সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ হত্যা মামলার বাদী অনুভা মন্ডল জেল-হাজতে গেলে তার একমাত্র ছেলে ত্রিদীপকে কে বা কারা হুমকি দিচ্ছে এ মর্মে থানায় জিডি হয়েছে। এ বিষয়ে ওসি মো: জিয়াউর রহমান বলেন, জিডি’র বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

 





অপরাধ এর আরও খবর

নড়াইলে মদ্যপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, অসুস্থ আরেক ছাত্রী নড়াইলে মদ্যপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, অসুস্থ আরেক ছাত্রী
নড়াইলে শিশু শাহিন হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন নড়াইলে শিশু শাহিন হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাইকগাছায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পাইকগাছায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করায় ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করায় ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা
নড়াইলে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা নড়াইলে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
কয়রায় মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কয়রায় মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পোড়ার ঘটনায় দিশেহারা দিনমজুর পরিবার পাইকগাছায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পোড়ার ঘটনায় দিশেহারা দিনমজুর পরিবার
নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার নড়াইলে ধানখেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে সাজা ও পরোয়ানায় গ্রেফতার ৩ পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে সাজা ও পরোয়ানায় গ্রেফতার ৩

আর্কাইভ