বৃহস্পতিবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » বিবিধ » মিনহাজ নদী পাইকগাছা- কয়রার ৯৫ টি গ্রামের মানুষের অভিশাপ
মিনহাজ নদী পাইকগাছা- কয়রার ৯৫ টি গ্রামের মানুষের অভিশাপ
এস ডব্লিউ; মিনহাজ নদীর মুখ ভরাট হওয়ায় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার ৯৫টি গ্রামের ৪৬ টি মৌজা বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নদী ইজারা দেয়ার করণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ১১ বছর ধরে চেষ্টা করেও ইজারা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি বলে জানালেন লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান।
খুলনার পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নে মিনহাজ নদী অবস্থিত। নদীর দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। জমির পরিমান ২৫১ একর। যার মধ্যে মিনহাজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দু’শ বিঘার বেশী ভরাট হয়ে গেছে। বদ্ধ জলাশয় হিসেবে ইজারা দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। পাইকগাছার লস্কর,চাঁদখালী,গড়ইখালী ও কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের ৯৫ টি গ্রামের ৪৬ টি মোজায় এ নদীর পানির উঠা নামা করে। নদীর ভরাট হওয়ার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানি স্বাভাবিক গতিতে নামতে না পারায় গোটা এলাকা প্লাবিত হয়।চরম ক্ষতি সম্মুখীন হয় আমন চাষীরা। গত বছর ৯০% জমির ধানের ফসল ক্ষতি ও লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন জানান। তিনি আরোও বলেন ইজারা বন্ধ ও নদী খনন না করা হলে এলাকা বাসী আরোও চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি ১১ বছর ধরে এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কতৃপক্ষকে অবহিত করলেও আজও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।এব্যাপরে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু বলেন,এলাকাবাসীদের বাঁচাতে,নদী খননে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদ আবু ইলিয়াস বলেন,মিনহাজ নদীই একমাত্র উপায় যার পানি উঠা নামার মাধ্যমে কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। ইজারা বন্ধ করে নদী খননের মাধ্যমে কৃষক তথা এলাকাবাসীকে বাঁচাতে হবে।