বৃহস্পতিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবন থেকে পাচার হওয়া বন্যপ্রানী করমজলে অবমুক্ত
সুন্দরবন থেকে পাচার হওয়া বন্যপ্রানী করমজলে অবমুক্ত
এস ডব্লিউ; র্যাবের হাতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় ২৬টি বণ্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩ জানুয়ারী দুপুরে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এসব বণ্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি যশোরের মনিরামপুর, সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এবং ১৫ জানুয়ারি খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি থেকে এ প্রানীগুলো জব্দ করে র্যাব -৬ এর সদস্যরা। জব্দ হওয়া এসব বণ্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে মেছো বিড়াল ১ টি, সজারু ১টি, বানর ২টি, গন্দগোকুল ১টি, অজগর ১টি, গোখরা ২ টি, ধুসর বক ২ টি, ডাহুক পাখি ৬ টি, পানকৌড়ি ১টি এবং সুদ্ধি কচ্ছপ ৯টি। এগুলো পাচারকারীরা বিভিন্ন সময় সুন্দরবনসহ অন্যান্য এলাকা থেকে পাচার করে আনা হয়েছিল। দেশের কিছু কিছু জায়গায় অবৈধভাবে মিনি চিড়িয়াখানা তৈরী করে এ প্রাণীগুলো প্রদর্শনীর জন্য আটকে রাখে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মালিকরা।
উদ্ধার হওয়া এসকল বন্যপ্রানী করমজলে অবমুক্তের সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, স্টাফ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোঃ আবুল কালাম আজাদ, খুলনা বিভাগীয় বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান নির্মল কুমার পাল ও করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ র্যাব , কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের অন্যান্য সদস্যরা।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে একটি চক্র চোরাই পথে পাচার করে এনে সুন্দরবনের এসব বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ করেছিল। যা এই সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয় এবং যারা এসব বন্যপ্রানী পাচার ও সংরক্ষণ করেছিল তাদের জেল জরিমানা করাও হয়।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ১৬ প্রজাতির ৪৩ টি বণ্যপ্রাণী জব্দ করে সুন্দরবনের এই করমজলে অবমুক্ত করা হয়। এছাড়াও সুন্দরবনেন মৎস্য, বনজ, বন্যপ্রানী ও দেশের দস্যু দমনের র্যাব সব সময় প্রস্তুত। বন্যপ্রানী উদ্ধার ও চোরা চালান রোধে আগামীতেও র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান।