শনিবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » মোংলায় বাঘ আতংকে ভূগছে সুন্দরবন সংলগ্ন কয়েক হাজার মানুষ
মোংলায় বাঘ আতংকে ভূগছে সুন্দরবন সংলগ্ন কয়েক হাজার মানুষ
মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নের কয়েকজন হাজার মানুষ ভূগছে বাঘ আতংকে। রাতে ঘুমাতে পারছে না। সারা রাত জেগে রাত কাটাচ্ছে সেখানকার লোকজন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা ইউনিয়নের জয়মনি ও বৈদ্যমারি এলাকায় গত তিন চার দিন যাবৎ প্রতিদিন রাতেই শোনা যায় বাঘের গর্জন।আতংক নিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার লোকজন।
বৈদ্যমারী এলাকার বাসিন্দা আঃগনি শেখ জাগো নিউজ কে বলেন আমার বাড়ি সুন্দরবনের খুব কাছে।গত কয়েকদিন যাবৎ প্রতিদিন রাতে একটি বাঘ খুব গর্জন করে।এর ফলে সারারাত পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ে থাকি।কখন না বাঘ এসে আমাদের আক্রমন করে বসে।
হুমায়ুন নামে এক ব্যাক্তি জাগো নিউজ কে বলেন আমি সুন্দরবনের খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি।কয়েক দিন ধরে বাঘ এর ভয়ে মাছ ধরতে যেতে পারছি না।খুব কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে।প্রতি বছরই শীতের সময় এ আতংকে দিন কাটাতে হয় আমাদের।
স্হানীয় লোকজনের কাছ থেকে আরো জানা যায় প্রতিবছর শীতের সময় বাঘ সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নের লোকালয়ের কাছে চলে আসে।কখনো কখনো পশু ও মানুষের উপরও হামলা চালায়।সুন্দরবন ও এই দুটি ইউনিয়ন পাশাপাশি হওয়ায় শীতের এ মৌসুম প্রতিবছরই আতংকে কাটাতে হয় স্হানীয় জনসাধারণের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন সুন্দরবনের কোন ঘেষে আমার ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষই হতদরিদ্র। তারা সুন্দরবনের সাথেই সংশ্লিষ্ট ।প্রতি বছরই এ সময় আসলে বাঘের উপরদ্রপ বাড়ে।এ সময় সুন্দরবনের কোল ঘেশা গ্রামগুলোর মানুষ বেশী আংতকে থাকে।মাঝে মাঝে গভীর রাতে বাঘ লোকালয়ে ডুকে ডাকাডাকি করে এতে লোকজন আরো বেশি আতংকিত হয়ে পড়ে ।আমি মনে করি সুন্দরবনে খাদ্যের অভাবের কারনেই বাঘ লোকালয়ে ডুকে পড়ে।তিনি বলেন সুন্দরবন সংলগ্ন খরমা নদিটি যদি খনন করে ভেড়িবাধ দিয়ে লাইট পোস্ট বসানো হয় তা হলে বাঘ আর লোকালয়ে ডুকতে পারবে না বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে সিপিবি, ফরেষ্টার সহ সংশ্লিষ্ট লোকজনকে বিষয়টি জোর দিয়ে দেখার অনুরোধ করেন তিনি।