শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবন দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবন দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন
৩৫০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবন দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সুন্দরবন দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠণ।  সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারিসকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সামনে শরুব ইয়ুথ টিম উক্ত মানববন্ধনের আয়োজন করে। এই দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সসাউদার্ন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন  সুন্দরবন প্রেসক্লাব। এই মানববন্ধনে উপকূলীয় অঞ্চলের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দও অংশ নেন ।মানববন্ধনে শরুব ইয়ুথ টিমের সভাপতি জান্নাতুল নাঈমের সভাপতিত্বে  মমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ও শিক্ষক রনজিত বর্মন, সাবেক উপজেলা চাত্রলীগের সভাপতি সাগর কুমার মন্ডলশরুব ইয়ুথ টিমের সাধারণ সম্পাদক বাদশা ওয়ালিদলিডার্সের এ্যাডভোকেসি অফিসার পরিতোষ কুমার বৈদ্যসাউদার্ন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের শাহিন সিরাজসুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিলাল হোসেন প্রমূখ।

মানববন্ধনে সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিলাল হোসেন বলেনপরিবেশগত দিক দিয়ে উপকূলের মানুষ পুরোপুরি সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। সুন্দরবনের সাথে রয়েছে আমাদের আত্মিক সম্পর্কনিবিড় ঘনিষ্ঠতা। সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো আগলে রাখে। এজন্যই সুন্দরবনকে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন মনে করি। সুন্দরবনের সুরক্ষায় সুন্দরবন দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন।

শরুব ইয়ুথ টিমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জান্নাতুল নাঈম বলেনআমরা সুন্দরবনের অনেক ক্ষতি করলেও সুন্দরবন সব সময় শুধুই দিয়েই গেছে। যারা বুঝে বা না বুঝে সুন্দরবনের ক্ষতিসাধন করে আসছেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যে কোন মূল্যে নিজেদের স্বার্থে সুন্দরবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

লিডার্সের পরিতোষ কুমার বৈদ্য বলেনসুন্দরবনের সুরক্ষায় সুন্দরবনের উপর মানুষের যে অনাচার চলছেতা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। একই সাথে বেআইনীভাবে বৃক্ষ নিধনবন্যপ্রাণী হত্যানিরবচ্ছিন্ন মৎস্যসম্পদ আহরণ বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবন বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমাদের মায়ের মত রক্ষা করে। তাই সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে।

রনজিত বর্মন বলেন, সুন্দরবন মায়ের মতন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে। এই সুন্দরবনকে যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের উপকূলের সমস্যা আরও বাড়বে।

প্রধান অতিথি বলেনসুন্দরবন শুধুমাত্র পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনই নয়বিশ্বে সুন্দরবনের মত এত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য আর কোন বনে নেই। এজন্যই সুন্দরবনকে বলা হয় ’জীববৈচিত্র্যের জীবন্ত পাঠশালা আমাদের নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সুন্দরবন বেঁচে থাকলে সুন্দরবনও আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে। ---এসময় বক্তারা ১৪ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস হিসেবে ঘোষণার জোর দাবী জানান।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)