শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » ৩ নক্ষত্রের পতন;লতা-সন্ধ্যার পর চলে গেলেন বাপ্পী লাহিড়ী,
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » ৩ নক্ষত্রের পতন;লতা-সন্ধ্যার পর চলে গেলেন বাপ্পী লাহিড়ী,
৩২৮ বার পঠিত
বুধবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৩ নক্ষত্রের পতন;লতা-সন্ধ্যার পর চলে গেলেন বাপ্পী লাহিড়ী,

লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে আবারো একটি নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন বলিউড ও টলিউডের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী(৬৯)। মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ)’ রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে এই সংগীতশিল্পীর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

খবরটি নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই গায়ক। এর কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম ছিল বাপ্পি লাহিড়ী। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তার শেষ গান ‘বাগি- ৩’ এর জন্য।

কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির সম্পর্কে মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী দু’জনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পি ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা-বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম।

 ---১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তার পর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন। সুর দিয়েছেন। প্রচুর সোনার গয়না পরতে ভালবাসতেন। ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি ছবির জগতে অনন্য পরিচিতি দিয়েছিল।

১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ি। মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যেসব বাঙালি সংগীতশিল্পী দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে একদম ওপরের দিকে থাকবেন বাপ্পি লাহিড়ি। আশির দশকে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির দিশা বদলে দিয়েছিলেন এ বাঙালি। ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘শারাবি’, ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অব  টারজান’, ‘ড্যান্স ড্যান্স’, ‘সত্যমেভ জয়তে’, ‘কমান্ডো’, ‘শোলা অওর শবনম’-এর মতো একাধিক সুপারহিট ছবির সংগীতের দায়িত্ব ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি।

রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছিলেন বাপি লাহিড়ী। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে কখনওই স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি তিনি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)