সোমবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবন ভ্রমনে রাজস্ব দুই গুণ বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা
সুন্দরবন ভ্রমনে রাজস্ব দুই গুণ বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা
এস ডব্লিউ; পূর্ব ঘোষণা ও আলোচনা ছাড়াই সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ ও তাদের বহনকৃত যানবাহনের রাজস্ব দুই গুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্তি করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ২৭ তারিখ রবিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিস পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন ‘ ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াস)।
লিখিত বক্তব্যে টোয়াস’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ম্যানগ্রোভ বনে গেলে দৈনিক ভিত্তিতে ভ্রমণ ফি, প্রবেশ ফি, তথ্য কেন্দ্রের ফি, গাইড ফি, লঞ্চ ক্রু ফি, নিরাপত্তা গার্ড ফি, টেলিকমিউনিকেশন ফি, ভিডিও ক্যামেরা ফি, তীর্থ ফি, ট্রলার ফি এবং বিশ্রামাগার ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতে সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়। এর মধ্যে অনেকগুলো খাতেই ফি বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। তাতে বিদেশী পর্যটকদের খরচ বেড়েছে অনেক বেশি। পর্যটন মৌসুমে মাঝামাঝিতে পূর্ব ঘোষণা ও আলোচনা ছাড়াই ফিস বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন ট্যুর অপারেটররা।তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন অন্যতম। এই বন সম্পূর্ণ আলাদা, প্রাকৃতিকগত ভাবেও এর অবস্থান ভিন্ন। এসব কারণে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এখানে সব সময় আসার জন্য বিশেষ ভাবে আগ্রহী থাকেন। বনকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। আর এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পেশার মানুষ। ট্যুর অপারেটররা এই পেশার অন্যতম স্টেকহোল্ডার। তারা এখানে বেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছেন। কোভিড-১৯ এর কারণে গত ২ বছরে ট্যুর অপারেটররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বাজার দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আবারও তা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ায় পর্যটকরা অগ্রিম ট্যুর বুকিং বাতিল করেন। এতে করে ট্যুর অপারেটররা নতুন করে আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হন। সাধারণত ট্যুর অপারেটররা মৌসুমের শুরুতেই বনের রাজস্বসহ সবকিছুর সঙ্গে সংগতি রেখে ট্যুর প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। সহসা এই প্যাকেজ মূল্য বাড়ানো পরবর্তীতে সম্ভব হয় না। বনবিভাগ হঠাৎ করে চলতি পর্যটন মৌসুমের মাঝপথে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন খাতে রাজস্ব বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং ওই দিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। নতুন রাজস্বের পরিমাণ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বা কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এতে আবার নতুন নতুন খাতেরও সংযোজন করা হয়েছে, যা এই শিল্প বিকাশকে ব্যাহত করবে বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটররা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াসের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম বাচ্চু, সভাপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার, আলামিন লিটন, মাহবুবুল ইসলাম বুলু, মাজহারুল ইসলাম কচি, শাহ জামান খান পপুল ও কাজী মনজুর-উল-আলম প্রমুখ।