সোমবার ● ৭ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ রোডের কাজ শেষ না করায় জনদূর্ভোগ চরমে: এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ
পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ রোডের কাজ শেষ না করায় জনদূর্ভোগ চরমে: এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ
পাইকগাছা প্র্রতিনিধিঃ ঠিকাদারের গড়িমসি ও অবহেলার কারণে পাইকগাছার জনগুরুত্বপূর্ণ বোয়ালিয়া ব্রিজ রোড পাঁকাকরণ কাজের মেয়াদ শেষ হলেও রাস্তার কাজ করা হয়নি। ইটের খোয়া দিয়ে রোলার করে রাখা বছর পার হলেও পিচের কাজ কাজ করতে টিকাদার তালবাহানা করছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সামান্য বৃস্টি হলে পানি জমে ডোবায় পরিনত হয় আর রোদে ধুলায় একাকার। পথচারি ও সকল যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। এতে করে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছায়াছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া জন গূরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কাজ না করে ফেলে রাখায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বোয়ালিয়া ব্রিজ রোড। পাইকগাছা থেকে রাড়ুলী, বাঁকা বাজার আশাশুনির দরগাহপুর ও সাতক্ষীরার সদরে যাওয়ার সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ পথে প্রতিদিন হাজারের অধিক মটরসাইকেল, ভ্যান, শত শত হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। মেইন সড়কের বোয়ালিয়া মোড়ে অর্ধশতাধীক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, তিনটি অটো রাইস মিল, তেলের মিল এবং বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামার ও হ্যাচারী এ সড়কের পাশে অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ বীজ উৎপাদন খামারে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। এ কারণে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বোয়ালিয়া মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী আমিরুল, রামকৃষ প্রহ্লাদ সাধু জানান, বছরের পর বছর রাস্তার কাজ না করে ফেলে রাখায় চলাচলের অসুবিধা ও ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। পুরাইকাঠি গ্রামের মফেজ গাজী বলনে, বোয়ালিয়া মোড় থেকে ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা পাকা না করায় সড়কে চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। এ রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ২.৩ কিলো মিটার বোয়ালিয়া সড়কটি নির্মানের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। এফটি বিবিজেভি জয়েন্ট ভেনসার নামে প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। ঠিকাদার ডুমুরিয়ার বাবলু রহমান। তবে কাজ করছে স্থানীয় ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম। রাস্তা পাঁকা না করার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের বীজ, বিভিন্ন মালামাল ও খামারের কৃষি কাজের ব্যবহৃত ট্র্যাকটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আনা নেয়ায় মারত্বক অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে চাষাবাদের প্রভাব পড়ছে। এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হারুণ বলেন, সড়কটি দ্রুত নির্মাণ হলে খামারের সরবরাহ ব্যাবস্থা স্বাভাবিক হবে। এ বিষয়ে ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম বলেন, পাথর ও পিচের দাম অনেক বেড়ে গেছে, কাজ শেষ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু দেরি হচ্ছে, তবে খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ শেষ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান খান জানান, সড়কের কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিলো ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। তবে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ যাহাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।