মঙ্গলবার ● ২২ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় লাউ চাষে সফল কৃষক ইদ্রিস মল্লিক
পাইকগাছায় লাউ চাষে সফল কৃষক ইদ্রিস মল্লিক
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ সবুজ ক্ষেত জুড়ে লাউ আর লাউ। মাচার উপরে গাছ আর নিচে ঝুলছে শত শত লাউ। মাচায় লাউয়ের সবুজ ক্ষেত আর লাউ দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। এই লাউয়ের আবাদ করেছে পাইকগাছার ইদ্রিস মল্লিক।
লাউ একটি লতানো উদ্ভিদ। লাউ শীত কালিন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসাবে খাওয়া যায় আর পরিপক্ক অবস্থায় বতল, পাত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কচি লাউয়ের রং সবুজ ও ভিরতে সাদা রঙের শাস হয়। লাউয়ের ডোগা সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। আঞ্চলিক ভাষায় লাউকে কদু বলা হয়। লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো সবজি। এর জন্ম আফ্রিকায়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে লাউয়ের আবাদ হয়েছে। গদাইপুর, তকিয়া, মালথসহ বিভিন্ন ব্লকে পরিকল্পিত কিছু লাউয়ের ক্ষেত আছে। তাছাড়া বিভিন্ন বাড়ীতে ছোট ছোট লাউয়ের বাগান গড়ে উঠেছে। উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়নের তকিয়া গ্রামের লাউ চাষী ইদ্রিস মল্লিক ৬ কাটা জমিতে মাচায় লাউয়ের আবাদ করেছেন। প্রতিদিন ক্ষেত থেকে ৭০-৭৫টি লাউ তুলছেন। প্রতিটি লাউয়ের ওজন প্রায় দুই থেকে আড়াই কেজি। স্থানীয় বাজারে ২৫-৩০ টাকা মুল্যে প্রতিটি লাউ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন। তিনি জানান, ৬ কাটা জমিতে ডায়না জাতের লাউয়ের বিজ বপন করেন কার্ত্তিক মাসের ১৫ তারিখে। ২ মাস পর গাছে ফুল ও ফল ধরা শুরু করেছে। ২ দিন পর পর ক্ষেতে পানির সেচ ও সার ঔষধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বৈশাখ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত লাউ উত্তোলন করবেন বলে তিনি জানান। লাউয়ের মাচাসহ প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। লাউয়ের আবাদ থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান। শুধু লাউ চাষ নয় বেগুন, টমেটো, চিচিংঙ্গা, পোল্লাসহ নানা ধরনের সবজির আবাদ করে তিনি এলাকায় মডেল কৃষক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। তিনি আরও জানান গদাইপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডলটন রায় তার ক্ষেত পরিদর্শনসহ বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাউ শীত কালিন সবজির মধ্যে লাভ জনক একটি ফসল। লাউ বারো মাস চাষ করা যায়। লাউ চাষীদের কৃষি বিভাগ থেকে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারসহ জৈব পদ্ধতীতে চাষাবাদে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।