বুধবার ● ৩০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » মোংলায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় ক্ষোভে বন্ধুকে হত্যা
মোংলায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় ক্ষোভে বন্ধুকে হত্যা
মোংলায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় রাগ-ক্ষোভে বন্ধু শাহিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতক মারুফ। পুলিশের হাতে আটক হওযার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ একথা স্বীকার করে। বুধবার ৩০ মার্চ দুপুরে মোংলা থানা কার্যলয় এক সংবাদ সম্মেলনর এ তথ্য জানায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ মোঃ আসিব ইকবাল।
তিনি জানায়, নাদিরা বেগম নামের এক নারীর সাথে মারুফের বিয়ে হয় প্রায় ১২ বছর আগে। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তার বয়স সাড়ে ৯ বছর। মারুফ ও নাদিরার সংসারে বনি-বোনাদ না হওয়ায় গত তিন বছর পুর্বে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ বিচ্ছেদে বন্ধু শাহিনের পরামর্শ রয়েছে বলে মারুফ সন্দেহ করে। তখন থেকেই দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ২০২০ সালের শেষের দিকে বন্ধু শাহিন নাদিরাকে বিয়ে করে। এতে মারুফের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। তারা একই এলাকায় বসবাস করছিল।এছাড়া নাদিরার রেখে যাওয়া সন্তান মাকে দেখলে অনেক কান্নাকাটি করায় রাগে-ক্ষোভে বন্ধু শাহিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে মারুফ। বন্ধুকে হত্যার ২০ ঘন্টার মধ্যে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ট্রাকিং প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ঘাতক মারুফকে (২৯ মার্চ) বিকেলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় কাচারিঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সে নানা বাড়িতে অবস্থান করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় সহকারী পুলিশ সুপার।মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে কয়রা থেকে মারুফকে নিয়ে মোংলা থানায পৌছানে হয়। বুধবার দুপুরে মারুফের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত ছুরিটিও ঘটনাস্থালের কিছুটা দুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় সেখানকান লোকজনের সামনে মারুফাকে উপস্থিত করলে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে তার ফাসির দাবী জানায়।
উল্লেখ্য, তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করে একই এলাকায় বসবাস করায় রাগে ক্ষিপ্ত হয় মারুফ। সোমবার (২৮ মার্চ) রাতে বন্ধু মোঃ শাহিন (৩৫) তার মায়ের সাথে দেখা করে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় মারুফ। সংবাদ সম্মেলন শেষে আদালতের মাধ্যমে মারুফকে জেল হাজকে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম।