বৃহস্পতিবার ● ৫ মে ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় তরমুজের বাম্পার ফলন
পাইকগাছায় তরমুজের বাম্পার ফলন
পাইকগাছা প্রতিনিধি; পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।উপকূল এলাকার চারপাশে লবণপানি,বেড়ীবাধের মধ্যে মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি করে পাইকগাছার গড়ুইখালী,চাদখালী ও দেলুটি ইউনিয়ানে তরমুজ চাষে হয়েছে। সফল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১শ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়ন মধ্য ৩টি ইউনিয়নে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর , দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর ও চাদখালী ইউনিয়নে৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দেলুটি ইউনিয়নে।উপকূরের লবণ পানির এলাকায় গড়ুইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদী ও দেলুটি ইউনিয়নের ডিহিবুড়া খাল খননে বৃষ্টির (মিষ্টি) পানি সংরক্ষণ করে তরমুজের চাষ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। কেউ খেত হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা পাইকারি বাজারে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ তরমুজ খেত বিক্রি হয়ে গেছে। ৬০ শতাংশ তরমুজ কৃষকের খেতে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিগত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।তবে অনাবৃস্টির কারণে পানি দিতে অধিক টাকা খরচ হয়েছে। দেলুটি ইউনিয়নের লোচন সরকার বলেন , আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আমার বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি। গড়ুইখালী ইউনিয়নের কানাখালী গ্রামের বিজন কুমার মণ্ডল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার জমিতে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে।তবে মিষ্টি পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষে সমস্যা হয়েছে। এসব এলাকায় খাল খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে তরমুজের চাষ আরও বাড়ানো যেত। প্রথমদিকে রমজানের কারণে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাজারে তরমুজের দাম সন্তোষজনক। ইতিমধ্যে উপজেলায় ৪০ ভাগ তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় আগামীতে তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।