শনিবার ● ৭ মে ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবনে কংক্রিটের ইকো ট্যুরিজমে উদ্বিগ্ন বিষেজ্ঞরা
সুন্দরবনে কংক্রিটের ইকো ট্যুরিজমে উদ্বিগ্ন বিষেজ্ঞরা
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঢাল হিসেবে রক্ষা করেছে দেশের উপকূলের মানুষসহ ওই অঞ্চলের সব প্রাণীকুলকে। অথচ প্রাণ রক্ষাকারী এই বন রক্ষার দায়িত্ব যাদের সেই বন বিভাগের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও লোভের শিকার এখন এই বিশ্ব ঐতিহ্য। উন্নয়নের নামে গাছপালা কেটে সুন্দরবনে গড়ে তোলা হচ্ছে ইট-কংক্রিটের ইকো ট্যুরিজম পার্ক। কিন্তু পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন বিভাগের এই উদ্যোগের ফলে বনে পর্যটক ও নৌযানের চাপ বাড়বে। আর বাড়তি পর্যটক ও স্থায়ী স্থাপনাগুলো দীর্ঘমেয়াদে বন্য প্রাণী ও বনের প্রতিবেশ-পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার; যা দেশের মোট বনাঞ্চলের অর্ধেকেরও বেশি। সুন্দরবনের ১ হাজার ৮৭৪.১ বর্গকিলোমিটার জলভাগের নদ-নদী-খালে রয়েছে ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও ১ প্রজাতির লবস্টার। সুন্দরবনে সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়া হরিণ, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, নোনা পানির কুমির, কচ্ছপ, রাজগোখরাসহ (কিং-কোবরা) বিভিন্ন প্রজাতির সাপ। এ ছাড়া আছে ৩১৫ প্রজাতির পাখি। সুন্দরবনের ভেতরে করমজল, কটকা, কচিখালী, দুবলারচর, কলাগাছিয়া, হাড়বাড়িয়া ও নীলকমল নামে সাতটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো সংস্কারের পাশাপাশি আরও চারটি নতুন পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা হয় ২০২০ সালে। ‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো ট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ওই বছরের ২৮ জুন। ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছরের আগস্ট থেকে প্রকল্পটির মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কালাবগী (কৈলাসগঞ্জ) ও শেখেরটেক, চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এবং শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্দায় ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। হাড়বাড়িয়া, কটকা ও কচিখালীতে সাতটি আরসিসি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হবে। বনের মধ্যে পর্যটকদের হাঁটার জন্য দুই মিটার প্রশস্ত ও তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পথ, তিন কিলোমিটার আরসিসি রাস্তা, আটটি পাবলিক টয়লেট, ৩০টি বেঞ্চ ও ২০টি ডাস্টবিন নির্মাণ করা হবে। এর সবই হবে কংক্রিটের। এ ছাড়া করমজলে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ, ১৬টি গোলঘর, করমজল ও কলাগাছিয়ায় দুটি গেট এবং পর্যটকদের ঘোরার জন্য নৌকা কেনা হবে। পর্যটন কেন্দ্রে কংক্রিটের খাঁচার মধ্যে হরিণ ও কুমির রাখা হবে।
দাকোপের কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, খালের পাশে বনের একটি অংশ গাছ কেটে ফাঁকা করে পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে। আরসিসি হাঁটাপথ, হরিণ ও কুমিরের শেড, টাওয়ারের কাজ করা হচ্ছে। শাবকসহ কয়েকটি হরিণ ও দুটি কুমির আটকে রাখা হয়েছে সেখানে।বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ ও সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অব সুন্দরবন একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। পর্যটক ধারণক্ষমতা নির্ণয়ে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গবেষকরা সুন্দরবনে ওই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে দেখা যায়, সুন্দরবনের নয়টি পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪ হাজার ২১৬ জন পর্যটক থাকলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। কেন্দ্রগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৭ হাজার ১৫০ জন পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে সেটা ধরা হয়েছে দিনে ফিরে আসার মতো স্থান যেমন হাড়বাড়িয়া, করমজল ও কলাগাছিয়া কেন্দ্রকে বিবেচনায় নিয়ে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে সুন্দরবনের নয়টি পর্যটন এলাকায় পর্যটন মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চে) কোনো কোনো দিন ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ অবস্থান করে। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক সুন্দরবনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে যাচ্ছেন। তারা যেখানে-সেখানে খাবারের প্যাকেট, পলিথিন, পানির বোতলসহ নানা বর্জ্য ফেলছেন; যা বনের প্রাণী ও মাইক্রো অর্গানিজমের ক্ষতি করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেসব স্পটে অধিকসংখ্যক পর্যটক যাচ্ছেন, সেখানকার পরিবেশ-প্রতিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যে ট্রলার বা জাহাজে করে সুন্দরবনে মানুষ ভ্রমণ করে, সেগুলোর শব্দে বন্য প্রাণী প্রজননে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। এতে সুন্দরবনে বন্য প্রাণী কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া ওই শব্দের কারণে যেসব প্রাণী (বাদুড়, ডলফিন) শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে চলাফেরা করে, তাদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এতে তারা ওই এলাকা থেকে চলে যেতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় বন বিভাগকে পর্যটক নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করেছেন গবেষকরা।
গবেষণা দলের প্রধান খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সালমা বেগম বলেন, ‘সুন্দরবনে একটি জটিল ও সংবেদনশীল ইকো সিস্টেম রয়েছে। পরিবেশের কোনো উপাদানের সামান্যতম তারতম্য হলে ওই ইকো সিস্টেমে বিরূপ প্রভাব পড়ে। বর্তমানে সুন্দরবনে যে পর্যটনব্যবস্থা চলছে, তা কোনো অবস্থাতেই পরিবেশসম্মত নয়।’
সুন্দরবনের আশপাশে শিল্প কারখানা : সুন্দরবনের পাশেই মোংলা সমুদ্রবন্দর। এই বন্দর ঘিরে সুন্দরবনের আশপাশে ১৫৪টির বেশি বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে, বিশেষ করে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশবাদীদের আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। শিল্পগোষ্ঠী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সুন্দরবন লাগোয়া ওই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে জমি কিনেছেন। বাগেরহাটের মোংলার চিলা ইউনিয়ন সদর থেকে জয়মনিরগোল গ্রাম, রামপাল উপজেলার বিদ্যারবাহন ও দ্বিগরাজ থেকে রামপাল সদর পর্যন্ত বেশিরভাগ কৃষি ও জলাভূমি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কিনে নিয়েছে। সম্প্রতি খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমি কেনা শুরু করেছেন।
সুন্দরবনের প্রাণীদের দেওয়া হচ্ছে বাইরের খাবার : সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকরা বন্য প্রাণীদের বাইরের খাবার দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে বনের মধ্যে যত্রতত্র ফেলে আসছেন পানির বোতল, খাবারের প্যাকেটসহ নানা আবর্জনা। কিন্তু এ বিষয়ে বন বিভাগের নেই কোনো নজরদারি। এতে হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের প্রাণী ও পরিবেশ।
সুন্দরবনের ভ্রমণের স্থানগুলোতে দর্শনার্থীরা অনেকটা এলোমেলোভাবে ঘুরে বেড়ায়। বানর-হরিণকে বিস্কুট-মুড়ি-চিপসসহ নানা রকম বাইরের খাবার খেতে দেয়। বাইরের খাবারে সুন্দরবনের প্রাণীরা অভ্যস্ত নয়। তারা বনের সবুজ পাতা-লতা ও ফলমূল খেয়ে অভ্যস্ত। তা ছাড়া বন বিভাগের উদাসীনতার কারণে এই সব স্থানে দর্শনার্থীরা খাবারের প্যাকেট, পানির বোতলসহ নানা রকম অবর্জানা ফেলে। জোয়ারের পানিতে মিশে এসব আবর্জনা বনের মধ্যে প্রবেশ করে; যা বনের গাছপালার শ্বাসমূলে আটকে যায়। ফলে গাছপালা মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে বনের পশুপাখি অনেক সময় প্লাস্টিকের প্যাকেট খেয়ে ফেলে। এসব আবর্জনা খেয়ে বন্য প্রাণীরা মারা যায়। তারা বনের খাবার ছেড়ে এসব খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া এসব খাবারে প্রাণীদের খাদ্য শৃঙ্খলায় পরিবর্তন আসে। তারা এসব খাবারের লোভে লোকালয়ে চলে আসছে। সেই সঙ্গে বনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
ইকো ট্যুরিজমে উদ্বিগ্ন বিষেজ্ঞরা : ইকো ট্যুরিজমের নামে সুন্দরবনের স্বাভাবিক প্রকৃতিকে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি ব্যবসা চলছে। ইকো ট্যুরিজমের নামে সুন্দরবনের স্বাভাবিক প্রকৃতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। ভারত ও আমাজানে ইকো ট্যুরিজম আছে। কিন্তু সেখানকার মানুষের কমিটমেন্ট রয়েছে। আমাদের তা নেই। ফলে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র করা মানে সুন্দরবনকে ধ্বংস করা।’
পর্যটন ব্যবসায়ীদের খুশি করতে বন বিভাগ সক্রিয় বলে মত দিয়েছেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। তিনি বলেন, ‘পর্যটন ব্যবসায়ীদের খুশি করতে বন বিভাগ যা করছে তাতে বনেরই ক্ষতি। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এখানে বনের পরিবেশ বনের মতো থাকা উচিত। কংক্রিটের ঢালাই, ইট-বালু দিয়ে টাওয়ার করা, এটি কোন ধরনের কাজ? এটি কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয় যে এখান থেকে আমাদের আয় করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের আশপাশে যেভাবে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে তাতে সুন্দরবনকে কোনোভাবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সুন্দরবন একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্যের আধার, অন্যদিকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের রক্ষাকবচ। তাই এটা মানুষের স্বার্থের জন্যই রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন রক্ষার জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর হওয়া উচিত। এতে সুন্দরবন সুরক্ষা অনেক সহজ হবে, সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা করা যাবে।’
সুন্দরবনের প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করছেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইকো ট্যুরিজমের নামে যা করা হয়, তা শেষ পর্যন্ত পরিবেশসম্মত থাকে না। এসব জানার পরও এমন সংবেদনশীল জায়গায় কী ধরনের আচরণ করা উচিত তা অনেকেই বোঝে না। এটা বনের জন্য ক্ষতিকর। সুন্দরবনের মতো বনে উন্মুক্ত পর্যটনের সুযোগ কম রাখা দরকার। মানুষ যে পারফিউম, কসমেটিকস ব্যবহার করে, এর ঘ্রাণ প্রাণীরা অপছন্দ করে, যা তাদের প্রজননকেও বাধাগ্রস্ত করে।’
কথিত ইকো ট্যুরিজমের বিরোধিতা করে বেসরকারি সংগঠন ক্লিনের প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, ‘বাঘের জায়গায় যদি মানুষ চলাচল করে তাহলে তো বাঘ সেখানে থাকবে না। শেখেরটেকের মতো উঁচু, পরিচ্ছন্ন, মিষ্টি পানির পুকুরসমৃদ্ধ এলাকা সুন্দরবনে খুব কম আছে। সেখানে এ ধরনের অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা না করলে ভালো হতো। বনকে বনের মতো থাকতে দেওয়াই উত্তম।’
প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে সুন্দরবনের নদী-নালা-খাঁড়িগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অমাবস্যা, পূর্ণিমায় জোয়ারের পানিতে এমনিতেই বনের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে যায়। সুন্দরবনে মানুষ যায় প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। সেখানে ইট, কাঠ ও বালু দিয়ে ভবন নির্মাণ কিসের জন্য? সবুজ বনে নানা রকম চটকদার রং ব্যবহার কেন? বাইরের দেশগুলো বন রক্ষায় কত যতœশীল। আর আমরা বন ধ্বংসে মত্ত।’
ইকো ট্যুরিজমের বিরোধিতা করছেন খোদ বন বিভাগেরই অনেক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৭ সালে সুন্দরবনে চারটি টহল ফাঁড়ি নির্মাণের প্রস্তাব দেয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বন বিভাগ তখন বলেছিল, এখানে ফাঁড়ি স্থাপন করলে বিপুলসংখ্যক গাছপালা কাটতে হবে, যা জীববৈচিত্র্য ও বন্য প্রাণীর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সেই বন বিভাগই এখন বনের গাছ কেটে পর্যটন কেন্দ্র করছে।’
তবে খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো মনে করেন, সুন্দরবন প্রকৃতিগতভাবেই সৃষ্টি, প্রকৃতিই এর রক্ষক। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন কখনো ধ্বংস হয়ে যাবে না। তারপরও সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’