বুধবার ● ১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে
পাইকগাছায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে
বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও পাইকগাছায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। বিগত বছর পাটের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর পাটের দাম ভাল পাওয়ায় এ বছর পাইকগাছা উপজেলায় পাটের আবাদও বেড়েছে। পাটের বীজ বপনের সময় বৃষ্টি না হওয়া ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও পাইকগাছায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩৫৫ হেক্টর। বিগত সময়ে পাটের বাজার মূল্যে কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পাটের চাষ ও কমে আসে। গদাইপুরে পাটের জমিতে করা হয় নার্সারি। যে সব জমিতে পাটের চাষ করা হতো সেসব জমিতে এখন নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। লবনাক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী, পৌরসভার জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, পাট চাষের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষের জন্য জমিতে জো না থাকায় সময়মত পাট বীজ বিপন করতে পারেনি।দেরিতে বীজ বপন করতে হয়েছে। তবে কিছু কৃষক যেখানে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে সেখান থেকে পানি সেচ দিয়ে পাট বপন করেছে। পরবর্তীতে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। কৃষক সবুর জানান, পাট আবাদ করার পরে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ দিন দিন ডোবা ও জলাশয়গুলি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া জায়গা পাওয়া যায় না। একই স্থানে একাধিকবার পাট জাগ দিতে হয়। এতে সময়মত পাট জাগ দিতে না পারায় পাটের আশ ভাল পাওয়া যায় না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতি শিকার হতে হয়।আবহাওয়া ভালো থাকলে পাটের আশ ভালো হবে বলে আশা করছেন পাট চাষিরা।
উপজেলার সকল কৃষককে সরকারিভাবে পাটের বীজ প্রদান করা হয়েছে।যার মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিজেআরআই তোষা পাট ৮ বীজ বপন করা্ হয়েছে প্রায় ৩৬৫ হেক্টর জমিতে। আর ১০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা তোষা, ও ৯৮ ও ৯৭, দেবগ্রী ও বঙ্কিম জাতের বীজ বেশি বপন করেছে। ক্ষেত বিশেষ পাঠ প্রায় ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পাটের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাট বীজ বপনের সময় জমিতে জো না থাকায় কৃষকদেরা পাট চাষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। পাট চাষিদের কৃষি অফিস থেকে তদারকি ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাটকাঠি ও পাটের আশ থেকে কৃষকরা আশানারুপ মূল্য পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।