শনিবার ● ৬ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » পাইকগাছায় বেড়েছে ভেনামী চিংড়ির উৎপাদন; অচিরেই বাণিজ্যিক চাষের প্রত্যাশা
পাইকগাছায় বেড়েছে ভেনামী চিংড়ির উৎপাদন; অচিরেই বাণিজ্যিক চাষের প্রত্যাশা
পাইকগাছা লোনাপানি কেন্দ্র বিএফআরআই আওতায় ২য় বছরের মত ভেনামী চিংড়ির আহরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেনামী চিংড়ি চাষের পাইলট প্রকল্পে চিৎড়ির উৎপাদন বাড়ায় বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা বাড়ছে। শুক্রবার পাইকগাছা লোপাকে ভেনামী চিংড়ির আহরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খঃ মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিউট (বিএফআরআই) এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, বিএফএফইএ সভাপতি মোঃ হুমায়ন কবির, এমইউসী ফুডস লিঃ ডিরেক্টর ঢা.বি মৎস্য বিজ্ঞানের অধ্যাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম, শ্যামল দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম. আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ, ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ টিপু সুলতান, লোনা পানি কেন্দ্র বাগমই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম শফিকুল আলম রুবেল, দেবাশীষ কুমার মন্ডল, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ হাশমি সাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাওন আহম্মেদ, মোঃ মাসুদুর রহমান, মোঃ আবু নাছের, রিয়াজ মোর্শেদ রঞ্জু, রাফিয়া আফরিন ও শাহানাজ পারভীন, বিইসিএফএ এ্যাড. রফিকুজ্জামান প্রমূখ।
দেশের প্রথম ভেনামি চিংড়ি চাষের উদ্যোক্তা যশোরের এমইউসি ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস বলেন, পৃথিবীর যে কোন দেশের দিকে তাকান তারা ভেনামী চিংড়ি ছাড়া বিকশিত হয়নি। অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বানিজ্যিক চাষ সম্প্রসারণে প্রথম ৫টি দেশের চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানিকারকের মধ্যে আমাদের নাম নেই। কারণ আমরা ভেনামীকে বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ নিতে পারেনি। ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে কম, মধ্যম ও ছোট সাইজের চিংড়ি। সেখানে আমাদের বাগদা পেরে উঠছে না। সাতক্ষীরায় বাগদা ফলন না করায় পতিত আছে ১ হাজার হেক্টর জমি। সেখানে আমরা ভেনামী চিংড়ি চাষ করে লাভবান হতে পারি। প্রত্যেক দেশে আন্তর্জাতিক ভাবে দেখি সরকার এবং প্রাইভেট একসাথে কাজ করে। এটা অনুসরণ করলে বানিজ্যিক ভাবে আমাদেরও সফল হবেই। ১ম বারের থেকে ২য় ধাপে এবার উৎপাদন বেশী হয়েছে। ১১ হাজার ১শ ১২ কেজি পার হেক্টর উৎপাদন হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে কর্মীদের কর্মদক্ষতা, পুকুরে পানি বেশী, ২য় বছরের মত অভিজ্ঞা ছিল। ২০২৩ সালে প্রথম ফলনে ১২ হাজার ১২ কেজি পার হেক্টরে উত্তীর্ণ হবে আশা করি। এদেশ চিংড়িতে সমৃদ্ধ হবে। চাষীরা বানিজ্যিক ভাবে চাষের অনুমোদন পাবে।
খুলনার পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্র বাগমই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম জানান, আমি মনিটরিংয়ের দায়িত্বে আছি। ভেনামি চিংড়ি চাষের জন্য সরকারের নির্দেশে লোনা পানি কেন্দ্রের ৬টি পুকুর উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয়েছে। ২য় বছরে ১ম ফলনে আহরণকালে সচিব মহোদয় সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরো বলেন, ১টা পুকুরে আহরণ শুরু হয়েছে এখনো ৫টা বাকী। সম্পূর্ণ আহরণ হলে কত টাকা খরচ হল, উৎপাদন কত, ইনকাম কত হল, রোগবালাই, পরিবেশের উপর প্রভাব সবকিছু কারিগরি কমিটি বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করা হবে।