সোমবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছায় দির্ঘদিনের অনাবৃস্টির পর টানা বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন
পাইকগাছায় দির্ঘদিনের অনাবৃস্টির পর টানা বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন
পাইকগাছায় দির্ঘদিনের অনাবৃস্টির পর টানা দুই দিনের বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। তবে অতিরিক্ত পানি জমে রোপন কৃত আমন ফসলের ক্ষেতের ক্ষতি পুশিয়ে আবাদের জন্য উপকার হয়েছে।বর্ষাকালে বৃস্টির তেমন দেখা নেই আর শরতে এসে শুরু হলো টানা বৃস্টি। আমন আবাদের শেষের দিকে এ বৃস্টিতে কৃষকের মনে কিছুটা সস্বি ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি।এতে সংসারে টানাটানি পড়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুর মানুষেরা।কাজ নেই, অনেকেই বাড়ি হতে বের হতে পারেনি। পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের লিটন সরদার জানান, প্রতিদিন দিন মজুরের কাজ করে আমার সংসার চালাতে হয়, কিন্তু ভারি বর্ষণের কারণে রবি ও সোমবার আমি কোথাও কাজ করতে যেতে পারিনি।
বৃস্টি ও জোয়ারের পানিতে নিচু এলাকার বাড়ীর উঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। উপকূল এলাকার চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, লীজ ঘের গুলোতে আমন রোপন চলছে।তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমনের চারা রোপনের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকা কৃষকদের পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতিতো হবে না আরো উপকার হবে বলে তিনি জানান।