বৃহস্পতিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » মুক্তমত » উপকূলীয় পরিবেশ ও প্রকৃতি সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত সরুপ প্রকাশ ঘোষ বিধান
উপকূলীয় পরিবেশ ও প্রকৃতি সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত সরুপ প্রকাশ ঘোষ বিধান
নিজের মেধা, যোগ্যতা ও শ্রমের মধ্য দিয়ে প্রকাশ ঘোষ বিধান সাংবাদিকতা জগতে নিজেকে সৎ, নিষ্ঠাবান, সাহসী সাংবাদিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকতায় সব সময় নিরপেক্ষ। সাংবাদিকতার ইতিহাসে সাহসী ও মানবিকতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত। তার ক্ষুরধার লেখনীতে অকপটে সত্য প্রকাশ পায়। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় তিনি এক দৃষ্টান্ত। মানুষের প্রত্যাশা, বেদনাকে জোরালো ভাবে তুলে ধরার এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে তার। বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রশ্নে উচ্চকণ্ঠ। মানুষের উপর অত্যাচার, জুলুম, দু:খ, অভাবের ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরতে তার প্রতিবাদী লেখা অব্যহত রয়েছে। সত্যনিষ্ঠ স্বাধীন মত প্রকাশের নির্ভীকতার জন্য মফস্বল ও উপকূলীয় সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত সরুপ।
তিনি এ প্রজন্মকে সৎ সাংবাদিকতা করতে উদ্বুদ্ধ করেন। শুধু সৎ সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও তিনি আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার সংস্পর্শে যিনি একবার এসেছেন, তিনি তার সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। তেমনি তার সহানুভূতিশীল হৃদয় ও মানুষের প্রতি মমতাবোধ মানুষের মনকে জয় করেছে। তার মতো নির্লোভ, নিরহংকারী, সৎ, নির্মোহ সাংবাদিক আজ সত্যিই বিরল। আজকের সৎ সাংবাদিকতার ক্রান্তিকালে তিনি সৎ ও আদর্শবাদী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ।
সাংবাদিকতা নিরেট লেখালেখি আর অপরিসীম জ্ঞানচর্চার এক জায়গা। তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও উৎকর্সের সুবাদে একুশ শতকে এসে দ্রুতই বদলে যাচ্ছে মানব সভ্যতার দৃশ্যপট। জ্ঞানের সঠিক উৎস হলো সত্য তথ্য জানা ও জানানো। গণমাধ্যম হলো তথ্যের বাহন। প্রযুক্তির মাধ্যমে তা সবার কাছে পৌঁছায়। তাই সাংবাদিকতায় কে তথ্যের সঠিক ব্যবহার করছে আর কে অতিরঞ্জিত করছে তা পাঠকের কাছে ধরা পড়ে। এখানে সাংবাদিকের নিতি নৈতিকতার বিচারক পাঠক।
প্রকাশ ঘোষ বিধান। তিনি একাধারে লেখক, কবি, ছড়াকার, সাংবাদিক, প্রকাশক ও সম্পাদক, সংগঠক, পরিবেশ কর্মীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তার পুরো নাম প্রকাশ চন্দ্র্র ঘোষ, ডাক নাম বিধান। পত্র্র-পত্রিকা ও লেখালেখিতে প্রকাশ ঘোষ বিধান নামে সমাধিক পরিচিত। তিনি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্ম গ্র্রহন করেন। পিতা মৃত নরেন্দ্র্রনাথ ঘোষ, মাতা মৃত হৈম রানী ঘোষ। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্পোরাল র্যাংক থেকে অবসর নিয়ে সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক কাজ শুরু করেন। তিনি সপ্তদ্বীপা সাহিত্য পরিষদ, পরিবেবাদী সংগঠন বনবিবি ও কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তিনি একজন কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়। তার লেখা কবিতা, ছড়া, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ পত্রদূত, স্পন্দন, জন্মভূমি, প্রবর্তন, তথ্য, ইত্তেফাক, জনতা, মানবকণ্ঠ, বর্তমান, যায়যায়দিন, আলোকিত বাংলাদেশ, সংগ্রাম, সমাচার, ঢাকা রিপোর্টসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চিলিক পত্র্রিকায় প্র্রকাশিত হচ্ছে। তার সম্পাদনায় প্র্রকাশিত হচ্ছে অনিয়মিত সংকলন কণকাজ্ঞলী ও ধুলোবালি। তিনি ২০০৫ সালে খুলনাস্থ বাগেরহাট খানজাহান আলী স্মৃতি পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে খানজাহান আলী পদক, ২০১১ ও ২০১২ সালে খুলনা সুন্দরবন একাডেমী থেকে শ্রী সতীশচন্দ্র মিত্র সুন্দরবন বিষয়ক সাংবাদিকতায় আঞ্চলিক পত্রিকায় সেরা সাংবাদিক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে সবুজ উপকুল সাফল্য স্মারক, ২০২০ সালে খুলনা জ্ঞানবিকাশ সংগীত একাডেমী থেকে সাংবাদিকতায় সম্মাননা, ২০২২ সালে পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষায় খুলনা জ্ঞানবিকাশ সংগীত একাডেমী থেকে সম্মাননা, ২০২২ সালে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর হতে পরিবেশ সম্মাননা স্মারক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় পরিবেশের বিপর্যায় ঘটছে এতে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাখি রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও এদের আবাসস্থল সুরক্ষায় পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবি বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যে কে সমৃদ্ধ করেছে পাখি। পরিবেশবান্ধব এই প্রাণীটি জীববৈচিত্রের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের দ্বারা সৃষ্ট নানা কারণে পাখিরা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবেশ বান্ধব পাখিকুল রক্ষা, বিরল প্রজাতির বিলুপ্তি রোধ, শিকার বন্ধ, প্রজনন ও পাখিদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রগুলো নষ্ট না করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে স্ব উদ্যোগে পরিবেশবাদি সংগঠনের বনবিবির সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বিধান এই কাজটি করে চলেছে। উপকূল সুরক্ষায় সবুজ আন্দোলন। পরিবেশ সুরক্ষায় উপকূলের স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের সচেতন করে তুলতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীল প্রতিযোগিতা রয়েছে। চারপাশের পরিবেশ সমস্যা ও উত্তরণে সবুজ উপকূল সুরক্ষায় উপকূল বিষয়ে, রচনা লিখন, পত্র লেখা, কবিতা, ছড়া লেখা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। আরো রয়েছে পরিবেশ সুরক্ষায় গাছের চারা রোপন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা উপকরণ। তাছাড়া বৃক্ষ রক্ষায় গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার, প্যানা ও ফেস্টুন না লাগানো জন্য উদ্বুদ্ধ করা। ক্ষেতে রাসয়ানিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারে সচেতন বাড়াতে কাজ করছেন। পাখি আবাসস্থল গড়তে গাছে গাছে মাটির পাত্র স্থাপন ও পাখি সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিলবোর্ড স্থাপন অব্যহত রয়েছে।
তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার নির্লোভ নির্ভীক সাংবাদিক। সত্যের পথে সংগ্রামী ও আপোষহীন এক কীর্তিমান পূরুষ। সাংবাদিকতায় নিতি-নৈতিকতা, সততা, দায়িত্বশীলতা, বন্তনিষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্ভীক সাংবাদিক হিসাবে পাঠক ও জনগণের আন্থা অর্জন করেছেন।