বৃহস্পতিবার ● ২০ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় জমে উঠেছে সুপারির হাট
পাইকগাছায় জমে উঠেছে সুপারির হাট
পাইকগাছার গদাইপুর সুপারির হাট জমে উঠেছে। এখন সুপারির ভরা মৌসুম চলছে। ফলে বাগান মালিক খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা সুপারি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। উপজেলার আগড়ঘাটা,বাকা, নতুন বাজার, কপিলমুনিসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে সুপারি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর সুপারির ফলন খুব বেশি ভাল হয়নি।তবে দাম আশানারূপ।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে,উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৪শতটি। গাছ প্রতি গড়ে ৪শ ৪০টি সুপারির ফলন হয়েছে। প্রায় গাছে ৩ থেকে ৪ কাধি সুপারির ফলন ধরে। কোন কোন গাছে সর্বনিন্মে ৫০ থেকে ১৫০ আবার কোন কোন গাছে ৬ থেকে ৭শ সুপারি ফলন হয়। লবণাক্ত এ উপজেলার ভূমির অবস্থান উচু ও বিলান, নিচু ও বিলান জমির পরিমাণ বেশী। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর,হরিঢালী,কপিলমুনি,রাড়ুলী সুপারি গাছের পরিমাণ বেশী। চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় সুপারি গাছ রয়েছে।বাকী ইউনিয়ন গুলোতে গাছ নেই বললেই চলে।সুপারির ভরা মৌসুমে হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণ সুপারি বিক্রি হচ্ছে।
বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের হাটে সুপারি সরবরাহ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে পাইকারী সুপারি ক্রয় করে এলাকার বাইরে মোকাম গুলোতে বিক্রি করছে। তাছাড়া স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা সুপারি ক্রয় করে গুদামজাত করছে।যা পরে শুকিয়ে বা পানিতে মজিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করা হবে। গদাইপুর গ্রামের সুপারি বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম জানান,এ বছর সুপারির ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং বাজার মূল্য ভাল,এতে তিনি খুশি।নতুন করে আরেকটি সুপারি বাগান গড়ে তুলবেন বলে জানান।স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান,অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে প্রচুর পরিমাণ সুপারি উঠছে।সুপারির দাম কম- বেশী হয়,এখন ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে কুড়ি বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে পাইকারী সুপারি কিনে বড়দল, সোলাদানা, শান্তাসহ পাশ্ববর্তী হাট-বাজারের আড়ৎ গুলোতে সুপারি বিক্রয় করে। সুপারির হিসাব অঞ্চল হিসাবে ভিন্ন। এ এলাকায় এক কুড়ি (৫৫গোন্ডা) অর্থাৎ ২২০টি সুপারি। মৌসুমের শুরুতে সুপারির দাম বেশী থাকলে বর্তমানে দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় অনেকেই সুপারি ক্রয় করে মজুদ করতে শুরু করেছে। যা পরবর্তীতে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করবেন বলে মজুদকারীরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান,সুপারি এ অঞ্চলের একটি অর্থকারী গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তাছাড়া এ এলাকার সুপারির মানও ভালো। তবে লম্বা সুপারি গাছ গুলো মরে যাওয়ায় অথবা কেঁটে ফেলায় নতুন করে সুপারির বাগান তেমন একটা গড়ে উঠছে না। তাই কৃষি অফিস থেকে নতুন করে সুপারি বাগান তৈরীর জন্য বাগান মালিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।