বৃহস্পতিবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » রোকেয়া দিবসে পাইকগাছার ৫ নারী পাচ্ছেন জয়িতা সম্মাননা
রোকেয়া দিবসে পাইকগাছার ৫ নারী পাচ্ছেন জয়িতা সম্মাননা
বেগম রোকেয়া দিবসে পাইকগাছার ৫ নারী জয়িতা সম্মাননা পাচ্ছেন। সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে যে নারী সফল হয়েছে তারাই জয়িতা। সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে অথবা ব্যক্তি জীবনে সফলতা পেয়েছে এমন নারীদের মধ্যে সরকার ৫টি ক্যাটাগরীতে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করে থাকে। সংগ্রামী নারীদের জন্য এটি বিরল একটি সম্মাননা। সরকার এ সম্মাননা উপজেলা পর্যায় থেকে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে প্রদান করে থাকে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ৫জন নারী ৫টি ক্যাটাগরীতে পাচ্ছেন জয়িতা সম্মাননা। ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বেগম রোকেয়া দিবস ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক দপ্তর থেকে নিবার্চিত ৫ নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ পত্র প্রদান করা হবে। এ বছর যে ৫জন নারী মনোনিত হয়েছেন তারা হলেন, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী” ক্যাটাগরীতে রহিমা সুলতানা বুশরা। তিনি পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের জিএম নাহিদুল এহসান মিলন এর সহধমীর্নি। তার পিতা এসএম সহিদুল ইসলাম ও মাতা সাহিদা ইসলাম। রহিমা সুলতানা প্রশাসনের ৩৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে উপজেলা নিবার্হী অফিসার হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন।
“সফল জননী” ক্যাটাগরীতে আকলিমা আজাদ। তিনি উপজেলার রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর সহধমীর্নি। সফল এ জননী’র ৫ সন্তানের মধ্যে ছেলে আমিনুল ইসলাম টুকু সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোমিনুল ইসলাম মুকুল বিএ পাশ ও প্রাক্তন চাকুরীজীবী, ইনামুল ইসলাম বকুল মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বান্দরবন জেলা পুলিশ সুপার ও মেয়ে আশরাফুন্নেছা রত্না বিএ পাশ।
“নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী” ক্যাটাগরীতে শাহিদা আক্তার। তিনি পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের মৃত মেছের আলী ও মৃত ফুলজান বিবির অভাগা মেয়ে। পিতা—মাতা হারা এতিম শাহিদা পালিত ভাই মুনছুর আলীর এখানে থেকে চরম অভাব অনটনের মধ্যে এইচএসসি পাশ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্টানে কর্মরত রয়েছে।
“অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী” ক্যাটাগরীতে পুতুল রজক। তিনি উপজেলার হরিঢালী গ্রামের গঙ্গাধর রজক ও সন্ধ্যা রাণী রজক এর মেয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা পুতুল এইচএসসি পাশ করার পর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরুর খামার করে সাবলম্ভী হয়েছেন।
“ সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরীতে কাকলী রাণী সরদার। তিনি উপজেলার উত্তর খড়িয়া গ্রামের কমলেশ সরকারের স্ত্রী। তিনি বিএ পাশ করে নারী উদ্যোক্তা ও কমিউনিটি পুষ্টি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতার্ মনিরুজ্জামান বলেন বেগম রোকেয়া দিবস ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।