সোমবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় বাকপ্রতিবন্ধী স্বামীর জমি জবর দখলে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় পূর্ণিমা রানী রক্তাক্ত জখম; থানায় মামলা
পাইকগাছায় বাকপ্রতিবন্ধী স্বামীর জমি জবর দখলে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় পূর্ণিমা রানী রক্তাক্ত জখম; থানায় মামলা
পাইকগাছায় বাকপ্রতিবন্ধী স্বামীর পৈত্রিক জমি জবর দখলে বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রী পূর্ণিমা রানীকে প্রতিপক্ষ রাজ্জাক ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানা মামলা হয়েছে। আহত পূর্ণিমা রানী উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের ফসিয়ার রহমান মহিলা মহা বিদ্যালয়ের পিছনে সরল মৌজায় এস.এ ৭৩নং খতিয়ানের এস.এ ১০১১নং দাগে পূর্ণিমা রানীর স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী প্রশান্ত সানার পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছে। তবে উক্ত সম্পত্তির দক্ষিন-পশ্চিম পাশে এফ.এম. এ রাজ্জাক দীর্ঘদিন যাবৎ জবর দখলের পায়তারায় লিপ্ত আছেন। গত ১০ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুর পনে ২টার সময় রাজ্জাক গংরা তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা ও পাঁকা প্রাচীর দিয়ে জবর দখল করে নির্মান করছে, এ সংবাদ পেয়ে পূর্ণিমা রানী তার বাকপ্রতিবন্ধী স্বামী প্রশান্ত সানা, রীতা রানীসহ ৪/৫ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে জমিতে নির্মান কাজে বাঁধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে এফ.এম.এ রাজ্জাক এর প্ররোচনায় ও ইন্দোনে ধারালো দা, লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালালে পূর্ণিমা রানীর ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় ও হাতের কনুই রক্তাক্ত জখম হয়। পূর্ণিমাকে বাঁচাতে তার লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় তাদের ডাক-চিৎকারে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পূর্ণিমা রানীকে উদ্ধার করে তারা পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকীরা পাইকগাছা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় পূর্ণিমা রানী বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় এফ.এম.এ রাজ্জাক, তার স্ত্রী রহিমা, পুত্র সামিউল, নাসরিন বেগম, শেখ শহিদুল ইসলাম শহীদ, মোঃ ইমদাদুল ইসলাম, আনজুয়ারা বেগম, মোঃ আজিজুল ইসলাম, জেসমিন নাহার, লাভলু শেখ, আবুল কাশেম, মোজাফ্ফার এ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের মামলা করেন। মামলা নম্বরঃ ১৮, তারিখঃ ১৬/০১/২০২৩খ্রিঃ। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই হাফিজুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। বাদী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মেডিকেল রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে মামলা তদন্ত সহজ হবে। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, অভিযোগকারী মহিলা পূর্ণিমা রানী মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার তদন্ত পূর্বক মামলার প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, এফ.এম.এ রাজ্জাক পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি। তার পক্ষে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য পাইকগাছার সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।