সোমবার ● ২০ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনের সাক্ষী ‘দরবার স্তম্ভ’
ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনের সাক্ষী ‘দরবার স্তম্ভ’
সাতক্ষীরার তালায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনের সাক্ষী ‘দরবার স্তম্ভ’। প্রাচীন এ স্তম্ভটির নিচের দিকে দুই দশমিক আট মিটার বেড়, ক্রমশ সরু হয়ে ওপরের দিকে উঠেছে তিন দশমিক সাত মিটার উচ্চতায়। পুরোপুরি ইটের তৈরি গোল স্তম্ভটির মাথার ওপর একটি বড় কলস, তার ওপর আরেকটি ছোট কলস রয়েছে। সেই সময়কার স্মৃতি নিয়ে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে দরবার স্তম্ভটি।
১৯৯৫ সালের পর থেকে বিভিন্ন মহল এ স্তম্ভটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে নথিভুক্ত করেছেন বলে জানা গেছে।বিরুদ্ধে সোচ্চার ঠিক সে সময় ১৯০৫ সালে ব্রিটিশরা বাংলাকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করে, যা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত। ১৯১১ সাল পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে বাংলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করা হয়। আন্দোলনের মুখে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। ওই বছর ১২ ডিসেম্বর এই ঘোষণার আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়নের জন্য সম্রাট জর্জ দিল্লিতে বৈঠকে বসেন। সম্রাটের এই আগমন উপলক্ষ্যে ও ঐতিহাসিক এই বিজয় উদযাপণ করতে তালা উপজেলায় দরবার স্তম্ভটি তৈরি করেন তৎকালীন রাজনীতিবিদ রাজকুমার বসু। সেই আন্দোলনের সাক্ষী ‘দরবার স্তম্ভ’ মাথা উঁচিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে তার অতীত ইতিহাস। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আন্দোলন-সংগ্রামের অজস্র গল্প।